নিজস্ব প্রতিবেদক,২৬ সেপ্টেম্বর : রাজধানীর কারওয়ান বাজারে রাস্তা ও ফুটপাতে অবৈধ দখল রোধে পুলিশ ফাঁড়ি বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। এ লক্ষ্যে সিটি কর্পোরেশনের একটি জায়গা ইতোমধ্যে নির্ধারণও করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার কারওয়ান বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে ডিএনসিসির উচ্ছেদ অভিযানের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ তথ্য জানান মেয়র আতিকুল ইসলাম। মেয়র বলেন, এখানে দেখুন রাস্তা কত বড় ও চওড়া। কিন্তু একটি গোষ্ঠী ফুটপাত দখল করতে করতে রাস্তাও দখল করে ফেলে। এই রাস্তা-ফুটপাত জনগণের টাকায় হয়েছে। তারা এই দখল চায় না। যারা এমন কাজ করছে, তাদের আমি হুঁশিয়ার করছি। জনগণ আমাদের সঙ্গে আছে। জনগণ যা চায় সেটাই হবে। দখল উচ্ছেদের পরও আবার পুনর্দখল হয়, এটা কীভাবে থামাবেন- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের সিটি কর্পোরেশনের নিজস্ব জায়গা আছে এখানে। কিন্তু আফসোসের বিষয়, সেই জায়গাগুলোও দখলে ছিল। একটিতে ক্লাব ছিল। আমরা সেগুলো সরিয়ে দিয়েছি। আর আমাদের একটি জায়গা আমরা পুলিশকে দেবো ফাঁড়ি স্থাপনের জন্য। পুলিশ ফাঁড়ি থেকেই অত্র এলাকায় দখলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশও দীর্ঘদিন ধরে এখানে ফাঁড়ি স্থাপনের জন্য একটি জায়গা চাইছিল। আমরা জায়গা চূড়ান্ত করেছি, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই পুলিশকে দেওয়া হবে। কারওয়ান বাজার এলাকার বিভিন্ন সড়ক বাইপাস হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনা আছে বলেও জানান ডিএনসিসি মেয়র। তিনি বলেন, কারওয়ান বাজার থেকে বাংলামোটরের দিকে চলে যাওয়ার রাস্তায় কাজ চলছে। এর মধ্যে ফার্মগেট থেকে হলিক্রসের সামনে দিয়ে এফডিসির মুখে বের হয়ে যাওয়ার একটি বাইপাস রাস্তা হবে। কারওয়ান বাজার প্রধান সড়ক থেকে বাজারের ভেতর দিয়ে হোটেল সোনারগাঁওয়ের সামনে দিয়ে উঠে হাতিরঝিলের দিকে বের হয়ে যাওয়া যাবে। মেয়র বলেন, এই বাজারের বদলে গাবতলী, যাত্রাবাড়ী এবং মহাখালীতে বাজার করা হবে। এখানকার বাজার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তাদের কিছু দাবি-দাওয়া আছে। সেগুলো মিটে গেলেই বাজার সরে যাবে। এ দিন ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে প্রায় দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। পুরো এলাকা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে বলে জানান মেয়র।