নিজস্ব প্রতিবেদক
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্তদের আজ থেকেই ঘর নির্মাণ, অর্থ ও ত্রাণ সহায়তা দেয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব ও পরিচালকরা ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ শুরু করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ঈদের ছুটির সময়ও সক্রিয় থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
লকডাউন পরিস্থিতিতে সরকারি ছুটির দিনেও সবসময় খোলা ছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। অনলাইন এবং অফলাইনে নিয়মিত ফাইল দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী এবং সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি। মন্ত্রিসভা, একনেক, বাজেট, ৬৪ জেলার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নিয়মিত সভা, সর্বশেষ গতকাল জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী প্রতি মুহূর্তে তথ্য নিচ্ছেন। তার নির্দেশে ঈদের ছুটির মধ্যেও অফিসের সবাই সক্রিয় থাকবেন।
তিনি বলেন, আজ সকাল থেকেই করোনা এবং ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি একইসঙ্গে পর্যবেক্ষণ ও কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সব জেলা, উপজেলা কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা সব মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবেন।
সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, ‘সকাল থেকেই সচিব ও পরিচালকরা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে সমন্বয় করে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ শুরু করেছেন। বিশেষ করে দুদিন ধরেই উপকূলীয় এলাকার লোকজনদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া, তাদের খাবারের ব্যবস্থা করা, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা এবং চিকিৎসা কার্যক্রম চালু রাখার জন্য ব্যস্ত সময় পার করেছেন তারা।’
ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজ করে ত্রাণ বিতরণের কাজ শুরু হয়েছে আজ সকাল থেকেই। একইসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, বিদ্যুৎ লাইন মেরামত, কৃষি ও গবাদিপশুর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ, সড়ক বাঁধ ও ঘরবাড়ির ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের কাজও চলছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এই সচিব।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে উপকূলীয় জেলায় শিশুসহ অন্তত ১০ জনের প্রাণহানি ও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।
আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্তদের আজ থেকেই সহায়তার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
আগের পোস্ট