নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে সংক্রমণ। দেশের ৩১ উচ্চ সংক্রমিত জেলার ২য় অবস্থানে মুন্সীগঞ্জ। ইতিমধ্যে সব ধরনের জনসমাগম সীমিত করাসহ ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করেছে সরকার। সেখানে বলা হয়, গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং ধারণ ক্ষমতার ৫০ শতাংশের বেশি যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। যানবাহন চালকদের অধিকাংশের মধ্যে এই নির্দেশনা মানতে অনীহা দেখায় মুন্সীগঞ্জে মাঠে নেমেছে পুলিশ প্রশাসন। পুলিশ সদস্যরা দাঁড়িয়ে থেকে বাসে অর্ধেকের বেশি যাত্রী যাতে না উঠতে পারেন সে বিষয়টি নিশ্চিত করছেন। সরেজমিনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার সীমানাধীন ভবেরচর, বাউশিয়া পাখির মোড় ও জামালদী বাসস্ট্যান্ডে গেলে পুলিশের তৎপরতা চোখে পড়ে। দেখা যায়, হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা যানবাহনে অর্ধেকের বেশি যাত্রী উঠতে দিচ্ছেন না পাশাপাশি মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে পুলিশের পক্ষ থেকে থেকে মাস্ক বিতরণ করছেন। এসময় মহাসড়কে চলাচলকারী বাস চালকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, পুলিশ অর্ধেক সিট ফাঁকা রেখে গাড়ি চালাতে বাধ্য করছে। সরকারি আদেশ তাই বাধ্য হয়ে তারা সে সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। এদিকে যাত্রীদের মধ্যে কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা জানান, করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশের ভূমিকা ইতিবাচক। তবে যানবাহনে কেবল অর্ধেক যাত্রী নেওয়ায় রাস্তাঘাটে প্রচুর পরিমাণ লোকজন গাড়ির অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে আছে। গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ সালাউদ্দিন জানান, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী নেওয়া সাপেক্ষে ৬০ পারসেন্ট ভাড়া বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তারা সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, অর্ধেক আসন খালি রাখার পাশাপাশি গণপরিবহনে সবার মাস্ক পরা এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে জনগণকে সচেতন করছেন তারা। গজারিয়া থানা পুলিশও প্রতিদিন সাধারণ পথচারী, গণপরিবহন, সরকারী, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, মার্কেট, হোটেল সর্বত্র মানুষের মাঝে গণসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছেন। এ বিষয়ে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রইছ উদ্দীন বলেন, সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে আমরা নিরলসভাবে কাজ করছি।