নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারীতে সরকারী ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত নির্দেশনা মতে মাইক্রো ফাইন্যান্স কর্মসূচী বন্ধ রেখে উপজেলা ও জেলার মানুষগুলোকে সতর্ক ও সচেতনসহ সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছে টঙ্গীবাড়ী ও মুন্সীগঞ্জ জেলা ব্র্যাক। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরুতে গত ২৫ মার্চ তাদের মাইক্রো ফাইন্যান্সের কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দিয়ে মানুষকে সচেতনতামূলক প্রচারণাসহ ৯ হাজার লিফলেট বিতরণ, উপজেলার অন্তর্ভুক্ত প্রতিটি পাড়া, মহল্লায় ৫টি মাইকের মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বনামধন্য বাউল শিল্পী কুদ্দুস বয়াতি ও মমতাজ এর করোনাকালীন জনসচেতনতামূলক গান দিয়ে মাইকিং করে সচেতনতা বৃদ্ধি করা, ব্যাংক, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ফার্মেসী, মসজিদ, মন্দিরে হাত ধোয়ার পাশাপাশি জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবহার এবং হাসপাতাল ও ঔষধের দোকানগুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য বৃত্ত অংকন করে ব্র্যাক। তাছাড়া গ্রাহকদের নিরাপদ আর্থিক লেনদেনের জন্য মার্চের ২৬ থেকে ৩১মে পর্যন্ত ৩৭২৫টি নতুন বিকাশ ওয়ালেট চালু করা হয় এবং তা অদ্য অবধি চলমান। গ্রাহকের চাহিদা বিবেচনা করে টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় ১ হাজার ৮ শত জনকে বিকাশের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য সঞ্চয় প্রদান করা হয়েছে।
মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত ইউরোপ ফেরত ২০ জন ও অন্যান্য দেশ থেকে ফেরত ৪০ প্রবাসীসহ দুস্থ ও অসহায় মোট ১৩৩ জনের মাঝে মোট ৪,১৮,০০০ টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান করেছে ব্র্যাক টঙ্গীবাড়ী। গত ১০মে এমআরএ কর্তৃক ঋণ কার্যক্রম নির্দেশনা থাকলেও অন্যান্য এনজিও মাঠ পর্যায়ে কার্যক্রম শুরু করলেও ব্র্যাক তাদের মাইক্রো ফাইন্যান্স কর্মসূচীর সিনিয়র পরিচালক মহোদয় গ্রাহকদের জীবন-জীবিকার কথা বিবেচনা করে মাঠ পর্যায়ে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত কিস্তি ও সঞ্চয় আদায় স্থগিত রেখেছে। কিন্তু অর্থনৈতিক কার্যক্রম গতিশীল রাখার জন্য ঋণ বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন ব্র্যাক টঙ্গীবাড়ী ও মুন্সীগঞ্জ জেলা। তবে স্বেচ্ছায় প্রণোদিত কিস্তি দিতে আগ্রহী সদস্যদের বিকাশ ওয়ালেট এর মাধ্যমে লেনদেনের ব্যবস্থা করেছে ব্র্যাক। ব্র্যাক মুন্সীগঞ্জ অঞ্চলের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক (দাবি) আফজাল হোসেন ফোনালাপকালে জানান, ব্র্যাকের জন্ম মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী ১৯৭২ সাল থেকে অদ্যাবধি যেকোন দুর্যোগকালীন সময়ে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে কোভিড-১৯ এর পাশাপাশি আম্পান দুর্গত এলাকায় কার্যক্রম করছে। ব্র্যাক টঙ্গীবাড়ীর এলাকা ব্যবস্থাপক শাহরিয়ার কবির বলেন, মহামারী করোনাভাইরাসে মানুষ যখন কর্মহীন হয়ে পড়েছে তখন ব্র্যাক মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরেছে বিধায় আমরা ব্র্যাক কর্মীরা গর্বিত। করোনাকালীন সময়ে সাধারণ ছুটিতে ব্র্যাক কর্মীবৃন্দ নিজ বাড়ীতে না যেয়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে তাতেআমি ব্র্যাক কর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞ। আর দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে ব্র্যাকের কার্যক্রমের প্রশংসা করেছে ব্র্যাকের গ্রাহকবৃন্দসহ উপজেলার সুধীজনেরা।
করোনাকালীন মহা সংকটে প্রশংসনীয় ভূমিকায় ব্র্যাক টঙ্গীবাড়ী শাখা
আগের পোস্ট