নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, বৈশি^ক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের ব্যাপক উদ্যোগী হতে হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার রামপাল এনবিএম মহাবিদ্যালয়ের ব্যবস্থপনা কমিটি ও শিক্ষকদের যৌথ সভায় এ কথা বলেন তিনি। বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপির সভাপতিত্বে সভায় বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সদস্যগণ এবং শিক্ষক ও অভিভাবক প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, প্রাণঘাতী মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দীর্ঘ সময় ধরে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ রয়েছে। ফলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীদের অনেকটা ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের ব্যাপক উদ্যোগী হতে হবে।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেকটা উন্নতি হয়েছে। করোনা ভাইরাস সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণে আসা অনেকটা সময় সাপেক্ষ। তাই পরিস্থিতি আরও উন্নতি হলে সরকারের শিক্ষা বিভাগ যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তাহলে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত করা এবং শিক্ষাঙ্গণে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ নিশ্চিত করার ব্যাপারে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সার্বিক প্রস্তুতি থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) ১৭ সেপ্টেম্বর ঐতিহাসিক শিক্ষা দিবস। ১৯৬২-এর শিক্ষা আন্দোলনের মৌলিক চেতনা ও একটি কল্যাণকর শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার যতটুকু অগ্রগতি হয়েছে তা আওয়ামী লীগের আমলেই সাধিত হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারই প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা, প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ, যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন, মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত বিনামূল্যে বই বিতরণসহ শিক্ষার মানোন্নয়নে ব্যাপক কর্মোদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
করোনাভাইরাসের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের ব্যাপক উদ্যোগী হতে হবে – অ্যাড. মৃণাল কান্তি দাস এমপি
আগের পোস্ট