নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার করোনা প্রতিরোধে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং ঘরে বসে থাকা কর্মহীন খেটে-খাওয়া সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সরকারের পদক্ষেপের সাথে প্রয়োজন জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত ও সম্মিলিত প্রয়াস। প্রত্যেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন, নিচে বাঁচুনÑ দেশ বাঁচান।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, বিশে^র উন্নত রাষ্ট্রসমূহ যেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে সেখানে বর্তমান সরকারের বলিষ্ঠ পদক্ষেপের কারণে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো অবস্থানে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার জাতীয় পর্যায়সহ সর্বত্র জনসমাগম স্থগিত করতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত জাতীয় অনুষ্ঠান বাতিল করে সীমিত ও সংক্ষিপ্ত করেছে। আসন্ন পয়লা বৈশাখ তথা বাংলা নববর্ষের জাতীয় অনুষ্ঠানমালাসহ রমনা বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠান, চারুকলা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত মঙ্গল শোভাযাত্রা এবং শহর, বন্দর, গ্রাম-গঞ্জে অনুষ্ঠেয় মেলা, সমাবেশ পার্বত্য অঞ্চলে বৈসাবী বাতিল করা হয়েছে। একইসাথে দরিদ্র ও খেটে খাওয়া মানুষের জন্য খাদ্য ও স্বাস্থ্য সামগ্রী সরকারিভাবে এবং সামাজিক, রাজনৈতিক সংগঠন এবং ব্যক্তিগত পর্যায় থেকে বিতরণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে আপাতত পারস্পরিক সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং সঙ্গনিরোধই সর্বোত্তম পন্থা হিসেবে স্বীকৃত হয়েছে বিশ্বব্যাপী। তাই সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সকল ধরনের জনসমাগমকে নিষেধ করেছে। সাধারণ মানুষের জীবনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে কাউকে ঘর থেকে বের না হয়ে তথা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশনা প্রদান করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
তিনি বলেন, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন, নিজে বাঁচুন এবং অন্যকে বাঁচান। সাধারণ মানুষের অনেকেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে অনীহাবশত: বাইরে বের হচ্ছে। জটলা পাকিয়ে আড্ডায় মেতে উঠতে দেখা যাচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে যা কোনভাবেই কাম্য নয়। করোনা সংক্রমণের বিস্তার রোধে দেশের সকল মানুষের একযোগে সতর্কতা মেনে চলা তথা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা অপরিহার্য। বাংলাদেশে আমরা এখনো যদি তা পুরোপুরি নিশ্চিত করতে পারি, তাহলে হয়তো অনেক প্রাণ বেঁচে যাবে। দুর্বিষহ জীবন থেকে রক্ষা পাবে অনেক নাগরিক।
তিনি বলেন, সকলকে মনে রাখতে হবে সামান্য একটু অবহেলা থেকে মারাত্মক বিপর্যয় ঘটে যেতে পারে। তাই জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হবেন না, ঘুরাঘুরি করবেন না, বাইরে একান্ত বের হতে হলে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। বাইরে থেকে বাসায় ঢোকার আগে সাবান দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড হাত ধোয়া, হেক্সিসল বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করা, জনসমাগম থেকে যতসম্ভব দূরে থাকা, প্রয়োজন ছাড়া হাত দিয়ে মুখ না ধরা, বেশি করে তরল জাতীয় খাদ্য খাওয়া, বারবার হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন এবং সম্ভাব্য লক্ষণ দেখা দিলে স্বাস্থ্য বিভাগের হটলাইনে যোগাযোগ করুন।