নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে জোনিং ব্যবস্থাপনা কেমন হবে, তা তুলে ধরে নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ছয়টি বিষয়ে এই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ নির্ধারিত গাইডলাইন অনুযায়ী এই জোনিং পদ্ধতি বাস্তবায়ন হবে। সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৬১ নং আইন) অনুযায়ী জেলার সিভিল সার্জনের কাছে জোনিং ঘোষণার দায়িত্ব থাকবে।
গত ১০ জুন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত এ আদেশ প্রকাশ করা হয়।
অধিদপ্তরের নির্দেশনাগুলো হচ্ছে-
১. করোনাভাইরাসের চলমান ঝুঁকি বিবেচনায় বাংলাদেশের যেকোনো ছোট বা বড় এলাকাকে লাল, হলুদ ও সবুজ হিসেবে চিহ্নিত করা যাবে। বাংলাদেশ রিক্স জোন-বেইজড কোভিড-১৯ কনটেইনমেন্ট ইম্প্লেমেন্টেশন স্ট্র্যাটেজি/গাইড অনুসরণ করে বাস্তবায়ন করতে হবে।
২. প্রাথমিকভাবে অবিলম্বে ৩টি জেলায় (গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী) এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের রাজাবাজার এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ারীতে পরীক্ষামূলকভাবে জোনিং সিস্টেম বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু হবে। জোন সুনির্দিষ্টভাবে সংশ্লিষ্ট এলাকার কোন অংশে কার্যকর হবে এবং এর পরিধি কী হবে তার প্রয়োজন অনুসারে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করবে।
৩. বাংলাদেশ রিক্স জোন-বেইজড কোভিড-১৯ কনটেইনমেন্ট ইম্প্লেমেন্টেশন স্ট্র্যাটেজি বা গাইড অনুসারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি কেন্দ্রীয় কারিগরি গ্রুপ গঠন করবে। এ কমিটি সময়ে-অসময়ে জোনিং সিস্টেমের সঙ্গে পর্যালোচনা করবে এবং সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়ে পর্যালোচনা করে জোনিং সিস্টেমের সংজ্ঞা ও বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া পরিবর্তন করার পরামর্শ দেবে। পরিবর্তিত স্ট্র্যাটেজি/গাইড সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করা হবে। সবসময় হালনাগাদ স্ট্র্যাটেজি/গাইড অনুসরণ করে জোনিং সিস্টেম বাস্তবায়ন করতে হবে।
৪. আইনের ৩০ ধারা অনুসারে সংশ্লিষ্ট জেলা সিভিল সার্জনের কাছে জোনিং ঘোষণার ক্ষমতা অর্পণ করা হলো। তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সিভিল প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা ও সশস্ত্র বাহিনী এবং স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় জোনিং কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবেন।
৫. বিদ্যমান বা নতুন এলাকায় জোনিং সিস্টেম প্রস্তাব বা পরিবর্তনের জন্য প্রতিটি সিটি করপোরেশন পৌরসভা জেলা ও উপজেলায় স্থানীয় কমিটি থাকবে। করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত কমিটিগুলো এই দায়িত্ব পালন করতে পারবে। কমিটির জোনিং সিস্টেমের হালনাগাদ সংজ্ঞা ও বাস্তবায়ন কৌশল অনুযায়ী অব্যাহতভাবে স্থানীয় পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে এবং জোনিং সিস্টেম চালু করতে হলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মতামত চাইবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কেন্দ্রীয় কারিগরি গ্রুপের মতামত সাপেক্ষে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদান করবে।
৬. বাস্তবায়নাধীন জোনিং এলাকায় কর্মরত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলাচল/ছুটি/দায়িত্ব পালন বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ,পরিদপ্তর, দপ্তর ও প্রতিষ্ঠান প্রয়োজনীয় নির্দেশনা জারি করবে বলে আদেশে বলা হয়।
এদিকে সরকার এরই মধ্যে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় করোনার সংক্রমণের হার বিবেচনায় জোন হিসেবে এলাকায় ভাগ করেছে। লাল, হলুদ ও সবুজ রং দিয়ে এসব জোনগুলোকে চিহ্নিত করা হয়েছে।