নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে খাসমহল বালুচর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের উন্নয়নের ধারা বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে একটি কুচক্রী মহল অত্র স্কুল ও কলেজের জমি নিয়ে চক্রান্ত করে আসছে ও এডহক কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল এর বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করছে। এরই প্রতিবাদে ছাত্র-ছাত্রীদের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের খাসমহল বালুচর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ প্রাঙ্গণে এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে খাসমহল বালুচর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সকল শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করেন।
খাসমহল বালুচর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সাবেক দাতা সদস্য হাজী আলাউদ্দিন মাষ্টার বলেন, মোস্তফা কামাল ২০১৬ সালে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে স্কুল এন্ড কলেজের ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করে আসছে। তিনি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কলেজে রূপান্তরিত করতে সরকারের অনুমতিসহ নিজ অর্থায়নে পুকুর ভরাট ও কলেজের ভবন নির্মাণ করেন। কিছু কুচক্রী মহল এই উন্নয়ন ধারাকে বাধাগ্রস্ত করতে মোস্তফা কামাল এর বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে আসছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এডহক কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল বলেন, আমি এই ক্রান্তিলগ্নে আপনাদের সামনে এসেছি। অতীতে বিভিন্ন সময়ে এই স্কুলের ক্ষতি সাধনে অনেকেই লিপ্ত ছিলো। আগে যারা ম্যানেজিং কমিটিতে ছিলো তারাই ঐ বিষয় প্রতিহত করেছে। আমি ২০১৬ সালে খাসমহল বালুচর উচ্চ বিদ্যালয়ের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে সরকারি নিয়ম মেনে ম্যানেজিং কমিটির রেজুলেশন অনুযায়ী কাজ পরিচালনা করে স্কুলকে কলেজে রূপান্তরিত করি। এই উন্নয়ন কাজ বাধাগ্রস্ত করতে কিছু দুষ্কৃতিকারী আমার নামে ভূমিদস্যু শিরোনামে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে আসছে। আমি এর সঠিক তদন্তপূর্বক অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে বালুচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আওলাদ হোসেন জানান, খাসমহল বালুচর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভবন নির্মাণের প্রয়োজনে দাগ/খতিয়ান পেডি খতিয়ান ২৫. দাগ নং ৩৪৫ এসএ খতিয়ান হালে ৭২০ সাবের ৭২৯ দাগ নং ৯৮৫, আর এস খতিয়ান ২৪২, ৭৮৮নং দাগের ৬ শতাংশ জমির মালিক মৃত আ. মজিদের ছেলে আমজাদ হোসেন ও দিদার হোসেনের সাথে খাসমহল বালুচর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ম্যানেজিং কমিটি ও বালুচর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু বক্কর সিদ্দিকসহ একাধিকবার একাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে ৭ লক্ষ টাকায় সমাধান হয়। পরে অন্যের প্ররোচণায় টাকা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে কোর্টে মামলা দায়ের করেন। পরে বাদী মামলা তুলে নেন। ঐ জমি নিয়ে এডহক কমিটির সভাপতি মোস্তফা কামাল এর বিরুদ্ধে ভূমিদস্যু, জমি জবরদখল শিরোনামে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে আসছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সঠিক তদন্তপূর্বক অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। তিনি আরো জানান, মোস্তফা কামাল দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে নিজ অর্থায়নে পুকুর ভরাটসহ প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে কলেজের ভবন নির্মাণ করেন।