নিজস্ব প্রতিবেদক
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে গেল ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতন হওয়ার পর থেকেই সারাদেশে লুটতরাজ করে দুষ্কৃতিকারীরা। এর থেকে রেহাই পায়নি থানাগুলো। লুট করা হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সকল আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ।
এদিকে সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় মুন্সীগঞ্জ সদর থানাসহ ৭টি থানার বেশকিছু আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। তবে জেলার ৭টি থানা থেকে কি পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ খোয়া গেছে এবং এর নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান দিতে পারেনি মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ।
খোয়া যাওয়া কিংবা লুট হওয়া সকল আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ স্বেচ্ছায় থানায় জমা দিতে বলা হলেও এখনো নিখোঁজ রয়েছে অনেক আগ্নেয়াস্ত্র। আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক ও থানার কার্যক্রম সচল রাখতে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে আজ বুধবার রাত থেকেই।
এদিকে গত ২৫ আগস্ট এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে নির্দেশনা অনুযায়ী বিগত ১ জানুয়ারি ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত মুন্সীগঞ্জ জেলায় যে সমস্ত আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে, সে সমস্ত আগ্নেয়াস্ত্র গোলাবারুদ ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখের মধ্যে সকল লাইসেন্সের বিপরীতে ক্রয়কৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দিতে হবে।
সেই অনুযায়ী গত ২ সেপ্টেম্বর সোমবার পর্যন্ত মুন্সীগঞ্জের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে লাইসেন্সকৃত ১৮৪টি অস্ত্রের মধ্যে ৭৯টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র জমা দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ৫ আগস্ট মুন্সীগঞ্জ সদর থানা ও টঙ্গীবাড়ী থানা থেকে লুট হওয়া বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রের মধ্যে মিসিং আগ্নেয়াস্ত্র ৩২টি। এর মধ্যে রাইফেল ৪টি, এসএমজি ৪টি, পিস্তল ১৭টি, শর্টগান ৮টি এবং ৩২৭২ রাউন্ড গুলি রয়েছে।
সেনাবাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, পুলিশ, আনসার সমন্বয়ে অপারেশন টিম আজ বুধবার রাত থেকেই যৌথ অভিযান পরিচালনা করবে বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।