গজারিয়াবাসী আমাকে মানুষের কল্যাণের লক্ষ্যে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করতে চাই– নেকী খোকন

গজারিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব গ্রহণের ১বছর পূর্তি
নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব গ্রহণের ১বছর পূর্তিতে নেকী খোকনের প্রত্যাশা নিয়ে কথা বলেছেন মুন্সীগঞ্জের কাগজের হ্যালো বিভাগে। প্রাপ্তি অপ্রাপ্তি সফলতা ব্যর্থতা নিয়েই মানুষের জীবন। গজারিয়া উপজেলার গণ মানুষের ভালবাসা নিয়ে গতবছর ৩০ মার্চ নেকী খোকন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে অংশ নেন। এই উপজেলা নির্বাচনে গণ মানুষের ভোটে বিজয় অর্জন করে ১৪ মে ভাইস চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ইতোমধ্যে ১ বছর অতিবাহিত হলো। নেকী খোকন বলেন, আলহামদুলিল্লাহ ! গজারিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব নেয়ার পর উন্নয়ন ও জনসেবামূলক কাজের মাধ্যমে এক বছর পূর্তি হলো। পরম করুনাময় আল্লাহ্ তায়ালার কাছে প্রার্থনা করি আল্লাহ যেন তৌফিক দান করেন সামনের সময়গুলো জনগণের সেবায় নিয়োজিত থাকার। নেকী খোকন বলেন, সমাজে সুন্দর পরিবেশ প্রতিষ্ঠিত করতে হলে বিবেক ও মানসিক চেতনা সুন্দর করা প্রয়োজন। সত্য ও ন্যায়ের ধারা সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে স্বাধীনতা বিরোধী কর্মকান্ড থেকে দূরে থাকার প্রত্যয় নিয়ে ভালো কাজের মাধ্যমে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। শিল্প-সংস্কৃতি, সাহিত্য, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ধর্মীয় সঠিক জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে দেশ ও জাতির কল্যাণে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। মুন্সীগঞ্জের কাগজে কুশল বিনিময়কালে কথাগুলো বলেন গজারিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নেকী খোকন। তিনি বলেন, গত ৩০ মার্চ গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে গণ মানুষের ভোটে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হই এবং গত ১৪ মে দায়িত্ব বুঝে নেই। ১৪ মে এই দায়িত্ব দেওয়ার ১ বছর পূর্ণ হলো। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এলাকার উন্নয়নে কাজ করার স্বপ্ন দেখি এবং তা বাস্তবায়নে নিরলস পরিশ্রম করি। এক বছরে এতো অল্প সময়ে কিছু কাজ হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে বাকী কাজগুলো সবার সহযোগিতায় শেষ করতে চাই। আমার স্বপ্ন গজারিয়াকে মাদকমুক্ত করা, শিক্ষার মান উন্নয়ন করা, বাল্যবিবাহ রোধ করা। এই কাজগুলো করা চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। তারপরও আমি জনসচেতনতার মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধান করতে চাই । আমাদের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান সাদী আমার কাজগুলো বেগবান করতে অনেক সহযোগিতা করেন। তাই কাজ করতে অনেকটা সহজ হয়। তিনি আরো বলেন, অনেক স্বপ্ন নিয়ে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে। এদেশের মানুষের মুক্তির জন্য লাখো বাঙালি নিজের জীবন দিয়ে শহীদ হয়েছেন। নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে জানেন না, তাদের জানাতে হবে। এদেশের স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলার মানুষ স্বাধীনতা প্রিয় জাতি। বাঙালি আর স্বাধীনতা একে অপরের পরিপূরক। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ নিয়ে সাহস আর আস্থার সঙ্গে বাংলার ভূখন্ডে স্বাধীনতার বিজয়ী পতাকা প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। গজারিয়াবাসী আমাকে এ অঞ্চলের কল্যাণের লক্ষ্যে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা আমি শতভাগ সততার সঙ্গে পালন করব। এ সময় তিনি পাঠকপ্রিয় মুন্সীগঞ্জের কাগজের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের প্রশংসা করেন।