নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হাতুড়ি পেটায় আহত যুবক সাজিদুল ইসলাম মীম (২২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে দীর্ঘ আটদিন কোমায় থেকে তার মৃত্যু হয়। এদিকে মামলা করার সাতদিন অতিবাহিত হলেও কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। জানা যায়, গত বুধবার ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় গজারিয়া উপজেলার ইসমানির চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন কিন্ডারগার্টেন স্কুলকক্ষে চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের দলে না থাকাকে কেন্দ্র করে মীমকে স্কুল মাঠে বেঁধে হাতুড়ি পেটা করেছে প্রতিপক্ষ গং। নিহত মীমের বাবা আব্দুস সাত্তার এর থানায় করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বনভোজনের ৪০০ (চারশত) টাকা পাওয়াকে কেন্দ্র করে ইসমানির চরের মো. সংগ্রাম মোল্লা (২৪), মো. আতাউর (২৭), মো. সম্রাট (২২), মো. তুষার (২০), মো. সাব্বির (২২), মো. নিঝুম (২২), মো. অপু (২১), কলসের কান্দির মো. আরজু (২০), মো. শুভ (২০) সহ ১০-১২ জনের কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য মিলে তার ছেলে সাজেদুল ইসলাম মীমকে হাতুড়ি, ডাঁসা, বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে হাত, পা ও মাথা থেতলে দিয়েছে। মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে দুই হাতের কনুই, দুই পায়ের হাঁটুর হাড় ভেঙে ফেলে জখম করে। মীমের আর্তচিৎকারে স্থানীয় মো. ইমু (২৫) ও মো. রাজিব (২২) সেখানে গেলে সন্ত্রাসীরা মামলা মোকদ্দমা না করার জন্য হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। এ বিষয়ে মীমের বাবা আব্দুস সাত্তার জানান, আমার ছেলে ভাল হতে চেয়েছিল। কিন্তু ওরা সেই সুযোগটা দিল না। এ ঘটনায় পেনাল কোডে মামলা করা হয়েছে। মামলা নং ১৫ ১৭/০৯/২০২১); ধারা ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৫/৩০৭/৩৭৯/৫০৬। এ বিষয়ে গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রইছ উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় জড়িতরা সবাই পলাতক রয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।