নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া নামক স্থানে দূর্ঘটনায় পতিত একটি যাত্রীবাহী বাসকে রেকার দিয়ে টেনে তুলতে গিয়ে মহাসড়ক বন্ধ ছিল প্রায় দুই ঘন্টা। এতে সৃষ্ট হয় দীর্ঘ যানজট। চরম ভোগান্তিতে পড়ে এ পথে চলাচলরত যাত্রী সাধারণ। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশ মূলত ছিল বন্ধ, অচল, স্তব্ধ। দু’মুখেই যান চলাচল ছিল বন্ধ।
জানা যায়, গত ২৪ জুলাই দূর্ঘটনায় পতিত তিশা পরিবহনের একটি বাসকে খাদ থেকে রেকার দিয়ে টেনে তুলতে গিয়ে এই যানজটের সৃষ্টি হয়। যা গজারিয়া অংশ ছাড়িয়ে মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর ও চট্টগ্রামমুখী লেনে সোনারগাঁও উপজেলার মোগড়াপাড়া পর্যন্ত ছাড়িয়ে যায়। আর এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন এ পথে চলাচলরত যাত্রী সাধারণ। তারা প্রচন্ড হতাশা ব্যক্ত করে হাইওয়ে পুলিশের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। সেইসাথে হাইওয়ে পুলিশের আধুনিকায়নের দাবি জানান।
জাকির হোসেন নামে এক প্রবাসী জানান, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে বিমানবন্দরে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে ৬ ঘন্টা হাতে সময় নিয়ে বের হয়েছেন এখন গজারিয়াতেই ৩ ঘন্টা কেটে গেছে।
এ্যাম্বুলেন্সে আটকে থাকা এক রোগীর স্বজন আমির হোসেন জানান, মুমূর্ষু রোগী নিয়ে ঢাকা যাচ্ছি, জানি না কি হবে।
হাইওয়ে পুলিশের আধুনিকায়ন ও সক্ষমতা নিয়ে কথা বলেন চট্টগ্রাম থেকে আগত জহিরুল ইসলাম চৌধুরী নামে এক যাত্রী। তিনি আক্ষেপের স্বরে বলেন, দেশের এতো উন্নয়ন হয় অথচ হাইওয়ে পুলিশের একটি বাস টেনে তুলতে দুই/তিন ঘন্টা সময় লাগে। এটা রাষ্ট্রের জন্য হতাশাজনক বিষয়। অতি দ্রুত হাইওয়ে পুলিশের আধুনিকায়ন প্রয়োজন।
এ বিষয়ে ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ মনিরুজ্জামান সাময়িক এ যানজটের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বাসটি অনেক গভীরে ছিল। আমাদের রেকার দিয়ে টেনে তোলা সম্ভব ছিল না। বাধ্য হয়ে দাউদকান্দি থেকে দুটো রেকার আনতে হয়েছে। তিনটি রেকারের সাহায্যে বাসটি টেনে তুলেছি।