নিজস্ব প্রতিবেদক
গত বছরের মতো আবারও কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে গজারিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। চলমান লকডাউনের কারণে পাকা ধান ঘরে তোলা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। উপজেলার গুয়াগাছিয়া গ্রামের কৃষক বজলু ছৈয়াল পাকা ধান নিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন। পাকা ধান বাতাসে নুইয়ে পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিষয়টি উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি শাকিল আহমেদ জানতে পেরে গতকাল সোমবার সকাল থেকে একদল ছাত্রলীগের কর্মী-ভাইদের নিয়ে বজলু ছৈয়াল এর ৩০ শতাংশ জমির ধান কেটে দেন। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের পাকা ধান কেটে দেয়ায় কৃষক বজলু ছৈয়াল অনেকটাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। লকডাউনে শ্রমিক সংকটের কারণে পাকা ধান কাটতে পারছিলাম না। এছাড়াও এলাকায় যে শ্রমিক পাওয়া যায় তাদের মজুরি খুব বেশি। ক্ষেতের ধান পাকার পরও তা কাটতে না পারায় কিছুটা ক্ষতির শঙ্কায় ছিলাম। আমার এমন অসহায়ত্বের কথা শুনে ছাত্রলীগ নেতা শাকিল আহম্মেদ ভাই আরও নেতাকর্মী সঙ্গে নিয়ে এসে টাকা-পয়সা ছাড়াই আমার ৩০ শতাংশ ক্ষেতের ধান কেটে দেন। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যেভাবে আমার ধান কাটতে সাহায্য করেছেন তা কখনও ভুলব না।
গত বছর অসহায় কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছিল গজারিয়া উপজেলা ছাত্রলীগ। যার সূচনা হয়েছিল শাকিলের হাত দিয়েই আর এবারও এই কষ্টসাধ্য কাজটি করে চলেছেন এই নেতা। এ বিষয়ে গজারিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাকিল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের উপ আইন বিষয়ক সম্পাদক আপন দাস এর নির্দেশনা অনুযায়ী তার এই কার্যক্রম পুরো ধানের মৌসুম জুড়েই চলবে। এ সংকটকালে প্রয়োজনে অন্যদের ধানও কেটে ঘরে তুলে দেবে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।