নিজস্ব প্রতিবেদক
গজারিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। গজারিয়ার গণহত্যা দিবস হচ্ছে ৯ মে। আমরা এই দিনকে যথাযথভাবে পালনের মাধ্যমে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। এই গণহত্যায় শহীদদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বীকৃতি দিবেন আমরা বিশ্বাস করি। আমরা এই স্বীকৃতি আদায়ে কাজ করে যাচ্ছি। এই সরকার স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। তিনি বলেন, গজারিয়ায় গণহত্যায় শহীদ ৩৬০ পরিবারকে পুনর্বাসনে জোরালো পদক্ষেপ নেয়া হবে। দুস্থদের জন্য ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, ৭১ এর ৯ মে গজারিয়া এলাকায় নিরীহ মানুষ বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে স্বাধীনতার দাবিতে গর্জে উঠেছিল। তাদের সেই দাবি রুখে দিতে হত্যাযজ্ঞ চালায় হানাদার বাহিনী। এইদিনে পাখির মতো হত্যা করা হয় এই এলাকার মানুষদের। তাই এইদিনের তাৎপর্য ও গুরুত্ব অনেক বেশি। বর্তমান সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিয়েছে। গণহত্যার শিকার যারা হয়েছে তাদেরও সম্মান দিয়েছে।
গতকাল রোববার বিকাল ৩টায় গজারিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় ১৯৭১ সালের ৯ই মে পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক গণহত্যায় নির্মমভাবে নিহত শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম এ কথা বলেন। গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব ভূইয়ার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বীর প্রতীক, গজারিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আরফিন। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ মোসলেম উদ্দিন, উপজেলা শহীদ পরিবার কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মোঃ মহিউদ্দিন ঠাকুর, সাধারন সম্পাদক মোঃ জালাল বেপারী, ফেরদৌস মীরসহ শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ। আলোচনা সভা শেষে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আমিরুল ইসলামের আয়োজনে ইফতার ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন সবাই।