নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় সন্ত্রাসী রাসেল বাহিনীর হামলায় সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগ গজারিয়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বি.আলম ওরফে আলম মোল্লা নিহত হওয়ার ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার রসুলপুর গ্রাম থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে রসুলপুর খেয়াঘাট হয়ে গজারিয়া উপজেলা পরিষদের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গজারিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সোলেমান, সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, গজারিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান খোকন নেকী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা আকতার আঁখি, ইউপি চেয়ারম্যান আবু তালেব ভূইয়া, মনসুর আহম্মেদ খান জিন্নাহ প্রমুখ। বক্তারা সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগ গজারিয়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বি.আলম হত্যাকান্ডে জড়িত এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী রাসেল ও মদদদাতা আজিম গংদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। পরে প্রশাসনের আশ্বাসে প্রতিবাদ কর্মসূচি স্থগিত করে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান সাদীর সাথে সাক্ষাত করে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। সমাবেশে গজারিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বলেন, গজারিয়ায় একের পর এক খুন খারাপীর ঘটনা ঘটছে, এরা কারা? ৫-৭ বছর যাবৎ এ ধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটছে আমরা কেউ নিরাপদ না। আমি আমিরুল ইসলাম উপজেলা চেয়ারম্যান আমি নিজেও নিরাপদ না। যারা সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটাচ্ছে তারা আওয়ামীলীগের কেউনা। আওয়ামী লীগের উন্নয়নের ধারা নষ্ট করতে এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য গত বুধবার ভোরে উপজেলার ইমামপুর ইউনিয়নের রসুলপুর প্রামে সন্ত্রাসীরা রাসেল বাহিনীর হামলায় সড়ক পরিবহন শ্রমিকলীগ গজারিয়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আলম মোল্লাসহ ৯ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় মারা যায় আলম। এই ঘটনায় গজারিয়া থানায় তিনটি মামলা করা হয়েছে।