মুন্সীগঞ্জে জমিসহ ঘর পেলেন ৩২৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার
নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় দ্বিতীয় পর্যায়ে একসঙ্গে আরও প্রায় ৫৩ হাজার ৩৪০টি অসহায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে গৃহ প্রদানের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন অসহায় মানুষের সহায় গণমানুষের আশা- আকাঙ্খার বিশ্বস্ত ঠিকানা বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা।
এ উপলক্ষে গতকাল রোববার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশের ৪৫৯টি উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে এসব ঘরের শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুন্সীগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে প্রতিনিধি হিসেবে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের হাত থেকে ৫টি উপজেলায় মোট ৩২৫টি জমির দলিল ও ঘরের চাবি বুঝে নেন ছিন্নমূল এসব পরিবার। লৌহজং উপজেলা ছাড়া মুন্সীগঞ্জ সদরে ২০০টি, গজারিয়ায় ২০টি, টঙ্গীবাড়ীতে ১৫টি, শ্রীনগরে ১৫টি, সিরাজদিখানে ৭৫টি ঘর প্রদান করা হয়। দলিলে জমির মালিকানা স্বামী ও স্ত্রীর যৌথ নামে করে দেয়া হয়েছে। তাদের নামে স্থায়ী দলিলের পাশাপাশি নামজারি করে খাজনা দাখিলাও দেয়া হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ সদরে ঘর বিতরণকালে মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. মৃণাল কান্তি দাস ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দীপক কুমার রায়, ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
ঘর বিতরণ শেষে ভূমিহীনদের উদ্দেশ্যে অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দর্শন হলো এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তিÑ একটি উন্নত সমৃদ্ধ জাতি রাষ্ট্র গঠন। তিনি চান বাংলাদেশের একটি মানুষও যেন ক্ষুধায় কষ্ট না পায় এবং ভূমিহীন না থাকে। তিনি চান যেন কোন মানুষ গৃহহীন না থাকে, অত্যন্ত গরীব ভূমিহীনের যেন মাথা গোঁজার মতো একটি গৃহ থাকে। তিনি চান অসুখে যেন সকলেই চিকিৎসা পায়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যার দূরদর্শী নেতৃত্ব ও প্রচেষ্টায় বাংলার মানুষের মুখে আজ হাসি ফুটেছে। দারিদ্র্যের হার বিস্ময়করভাবে হ্রাস পেয়েছে। অতি দারিদ্র্যের হার কমেছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল ও অসহায় মানুষের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রথম উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তিনি সংবিধানে দেশের প্রতিটি নাগরিকের বাসস্থান পাওয়ার অধিকারের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর সংবিধানের মৌলিক অধিকার বাসস্থান-পাওয়ার নিশ্চয়তা বিধানে পরবর্তী আর কোনো সরকার কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। ১৯৯৭ সালে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ প্রকল্প গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশের সকল গৃহহীন মানুষের জন্য গৃহ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা অসহায় মানুষের সহায়, গণমানুষের আশা-আকাক্সক্ষার বিশ^স্ত ঠিকানা। তিনি মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারাদেশে অসহায় পরিবারকে গৃহপ্রদানের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। বিশে^র ইতিহাসে একযোগে এতো পরিবারের জন্য সরকারি খরচে নির্মিত গৃহ বিনামূল্যে প্রদানের ঘটনা বিরল। জননেত্রী শেখ হাসিনার মতো দূরদর্শী ও যোগ্য নেতৃত্বের কল্যাণেই গৌরবোজ্জ্বল এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।