নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, মুন্সীগঞ্জের চরাঞ্চলের খেটে খাওয়া অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিকতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। মারাত্মক সংক্রামক করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে খেটে খাওয়া দিনমজুর শ্রেণির মানুষের ঘরে থাকা অত্যন্ত কঠিন। তাই সমাজের বিত্তবানরা চরাঞ্চলের এসব মানুষদের পাশে দাঁড়ান। সকলেই স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা মেনে চলুন, সামান্য অবহেলায় ঘটে যেতে পারে মারাত্মক বিপর্যয়।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, বিশেষজ্ঞদের মতে, আগামী দুই সপ্তাহ করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ‘পিক টাইম’ বা সর্বোচ্চ ব্যাপ্তির সময়। যেহেতু করোনা ভাইরোসের কোনো প্রতিষেধক নেই, তাই প্রতিরোধে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। ঘরে থাকার মাধ্যমে এই ভাইরাস ব্যারিকেড দিতে হবে। একমাত্র সতর্কতা, সচেতনতা এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার মধ্য দিয়েই এই ভাইরাস বিস্তারে প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, বিশে^র উন্নত রাষ্ট্রসমূহ করোনা ভাইরাসের প্রভাব মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে। প্রতিদিন মৃত্যুর মিছিল বাড়ছে। ইউরোপ-আমেরিকার মতো উন্নত দেশেরও এখন টালমাটাল অবস্থা। তাই বিশ্ব থেকে শিক্ষা নিয়ে সবাইকে আরও অন্তত দুই সপ্তাহ ঘরে থাকতে হবে। আর ঘরে থাকলেই নিজেকে পরিবার ও সমাজ এবং দেশকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। তাই ঘরে থাকা প্রত্যেক নাগরিকের দায়িত্ব। সবাই ঘরে থেকে নিজে বাঁচুন, পরিবার ও দেশকে বাঁচান।
তিনি বলেন, এক-দুই সপ্তাহ কিংবা আরও বেশি সময় ধরে ঘরে অবস্থান করা দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষের জন্য অত্যন্ত কঠিন। তাই সমাজের বিত্তবানদের উচিত অসহায় এসব মানুষের পাশে দাঁড়ানো। সরকার যথাসম্ভব ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে, সরকারের পাশাপাশি আমরা রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দও খাদ্য ও স্বাস্থ্য সামগ্রী নিয়ে জনগণের পাশে দাঁড়াবার চেষ্টা করছি। সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে এলে এই সংকট মোকাবিলা করা আরও সহজতর হবে।