নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দর্শন হলো এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি- একটি উন্নত সমৃদ্ধ জাতি রাষ্ট্র গঠন। সেজন্য টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষকে অর্থনৈতিক অগ্রগতির মিছিলে শামিল করতে তিনি বহুমাত্রিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
গতকাল ২৬ এপ্রিল মঙ্গলবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে গৃহহীনদের মাঝে গৃহ প্রদান কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশের অপরাপর অঞ্চলের ন্যায় মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় ভার্চ্যুয়ালি সংযুক্ত হয়ে প্রধানমন্ত্রী গৃহহীনদের মাঝে গৃহ প্রদানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন; অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্যের বক্তৃতা প্রদানকালে উপরোক্ত কথা বলেন অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি। এসময় আরও বক্তৃতা করেন জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল, পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন পিপিএম, সিভিল সার্জন ডা. মনজুরুল আলম, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোনায়েম সরকার, দৈনিক সভ্যতার আলো পত্রিকার সম্পাদক মীর নাসির উদ্দিন উজ্জ্বল, প্রেসক্লাব সভাপতি ফরিদুল হাসান তুহিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুসাইন মোঃ জোনায়েদ। উপকারভোগীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাহিদা বেগম ও মোঃ কবির।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, আমাদের অন্তহীন প্রেরণার উৎস সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাজীবন এদেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে সংগ্রাম করেছেন। বাংলার মানুষের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য আপোসহীন সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। জাতির পিতা বলেছিলেন- “আমি কী চাই? আমি চাই বাংলার মানুষ পেট ভরে ভাত খাক। আমি কী চাই? আমার বাংলার মানুষ সুখী হোক। আমি কী চাই? আমার বাংলার মানুষ হেসে-খেলে বেড়াক। আমি কী চাই? আমার সোনার বাংলার মানুষ আবার প্রাণভরে হাসুক।” সার্থক পিতার সুযোগ্য উত্তরসূরী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা পিতার দেখানো পথে এদেশের মানুষের কল্যাণেই নিজের সকল অনুভূতিকে সমার্পিত করেছেন।
তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দর্শন হলো এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তিÑ একটি উন্নত সমৃদ্ধ জাতি রাষ্ট্র গঠন। তিনি চান বাংলাদেশের একটি মানুষও যেন ক্ষুধায় কষ্ট না পায়, সবাই যেন খেয়ে পরে ভাল থাকে। তিনি চান যেন কোন মানুষ গৃহহীন না থাকে, অত্যন্ত গরীব ভূমিহীনেরও যেন মাথা গোঁজার মতো একটি গৃহ থাকে। তিনি চান অসুখে যেন সকলেই চিকিৎসা পায়।
তিনি বলেন, ১৯৯৭ থেকে ২০০১ সময়কালে ছিন্নমূল মানুষদের আবাস ও কর্মসংস্থানের জন্য গৃহীত আশ্রয়ণ প্রকল্প, ‘আদর্শ গ্রাম’, বস্তিবাসীদের গ্রামে পুনর্বাসনের জন্য ‘ঘরে ফেরা’ কর্মসূচি, অসহায় বৃদ্ধ/বৃদ্ধাদের থাকার জন্য ‘শান্তি নিবাস’ এবং গৃহায়ণ তহবিল থেকে দেশের ইতিহাসে প্রথম গৃহ নির্মাণ ঋণদান কর্মসূচির আওতায় কয়েক লক্ষ মানুষকে পুনর্বাসন করা হয়। কিন্তু ২০০১ এর পর পরাজিত পুরনো শকুন রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ায় ব্যাহত হয় গৃহহীনদের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বৃদ্ধি করে। বঙ্গবন্ধু কন্যার স্বপ্নের পথ বেয়ে ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় সর্বমোট ৭ লক্ষ ৭ হাজার ৮৪০টি পরিবারকে গৃহ নির্মাণের মাধ্যমে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। বিশেষত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ‘বাংলাদেশে কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না’ ঘোষণা দিয়ে গৃহহীনদের ভাগ্যোন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। মুজিববর্ষ উপলক্ষে উপহার হিসেবে ১ লক্ষ ৮৩ হাজারের বেশি গৃহ প্রদান করা হয়েছে।