নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক, মানবিক প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকার নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে বদ্ধপরিকর। নদী ভাঙনসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে থেকেছে আওয়ামী লীগ এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসনেও সরকারিভাবে ব্যাপক সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নের শম্ভুহালদার কান্দি ও সরদারকান্দি গ্রামে পদ্মা নদীর ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন এমপি মৃণাল কান্তি দাস। সেখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্যবস্থাপনায় জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙন রোধ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি ক্ষতিগ্রস্ত ২ শতাধিক পরিবারের মাঝে সরকারিভাবে ২০ কেজি হারে চাউল ও নগদ অর্থ বিতরণকালে এ কথা বলেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হোসাইন আল জুনায়েদ, বাংলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন পীর, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য দ্বীন ইসলাম, সালাউদ্দিন আহমেদ, বিশ^নাথ বাড়ৈ, নিজাম উদ্দিন মোল্লা, শান্তা ইসলাম, আলেয়া বেগম প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক, মানবিক প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকার নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে বদ্ধপরিকর। সাম্প্রতিক সময়ে খরস্রোতা প্রমত্তা পদ্মা নদীর ভাঙনে বাংলাবাজার ইউনিয়নের শম্ভুহালদার কান্দি ও সরদার কান্দি গ্রামে অনেক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অনেকের বসত-বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সরকারিভাবে নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদান, পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা এবং নদী ভাঙন রোধে ইতোমধ্যে অসংখ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। জিও ব্যাগ ফেলে নদী ভাঙন রোধে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে এবং অতি বর্ষণে কাজ ব্যাহত হচ্ছে। শুষ্ক মৌসুমে নদী ভাঙন ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে সাড়ে ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদী ভাঙনের মতো ভয়াবহ সমস্যা সৃষ্টি হয়। অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করতে হবে এবং ভাঙনের মতো বিপর্যয় সৃষ্টিকারী বালুদস্যুদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং যারা অবৈজ্ঞানিক পন্থায় ও অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন করে পরিবেশকে বিপর্যস্ত করছে তাদের ইজারা বাতিল করতে হবে। বালুদস্যুদের হাত থেকে মুন্সীগঞ্জের প্রাণ-প্রকৃতিকে রক্ষা করতে হবে; মানুষের জান-মালকে নিরাপদ রাখতে হবে।