নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে জমি নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে থানায় একপক্ষের মামলা নিলেও অপরপক্ষের কোন মামলা নেয়নি পুলিশ। গতকাল বুধবার এমন অভিযোগ করলেন উপজেলার আমতলী গ্রামের মৃত হযরত আলী বেপারীর স্ত্রী হাসান বানু। হাসান বানু জানান, সরকার থেকে লীজ এনে ৫২ বছর যাবৎ আমরা বসতবাড়িটিতে থাকি। এ বাড়িটি জোরপূর্বক লীজ নেয়ার জন্য চেষ্টা করে আমাদের একই গ্রামের বকসু ছৈয়ালের মেয়ের জামাই হারুন-অর-রশিদ। লীজ না পেয়ে জাল দলিল করে মালিকানা দাবী করে সে। পরবর্তীতে গত ২ আগস্ট আমার বাড়িতে হারুন দেওয়ান, সালাম, মামুনসহ অজ্ঞাত ৮/১০ জন নিয়ে আমার বসতঘর ভাংচুর করে দখলের চেষ্টা করে। আমার ছেলেরা বাধা দিলে তাদের উপর হামলা চালায় তারা। এসময় আমার ছেলে লিটন, শাহিদ, ছেলের বউ শিল্পী বেগম, ইভা, বড় ছেলের মেয়ে শারমিন, আয়শা গুরুতর আহত হয়। পরে আমাদের চিৎকারে আশপাশের লোক ছুটে এসে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করায়। এ বিষয়ে হাসান বানুর ছেলে লিয়াকত জানান, ঘটনার দিন আমি বাসায় ছিলাম না। তারপরও তারা আমাকে আসামী করে মামলা করেছে। তাছাড়া আমাদের বাড়িতে জোরপূর্বক ঢুকে আমাদের উপর হামলা করে তারা। আবার তারা টাকার জোরে মিথ্যা মামলা করে আমাদের জমি দখলের চেষ্টা করে। আমার ভাতিজি শারমিন থানায় অভিযোগ করে। কিন্তু তারা থানায় মামলা নিবে না বলে আমাদের জানিয়ে দেয়। আমার প্রশ্ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক পুলিশ কেইস লেখা ভর্তি রোগীর মামলা কেন থানায় নিবে না। যারা আমাদের বাড়িতে এসে হামলা করে। তারা আবার কিভাবে আমাদের উপর মিথ্যা মামলা করে। তাহলে কি গরীবের কোন বিচার নাই। যারা আমাদের নামে মামলা করেছে। তারা এখন সুন্দর বাসায় চলাফেরা করছে। আমাদের এখন দুই বছরের শিশু মেয়ে রেখে পলাতক থাকতে হচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী নজরুল ইসলাম জানান, গত ২ আগস্টের মারামারির ঘটনায় বেশ কয়েকজন চিকিৎসা নিয়েছে। এ বিষয়ে টঙ্গীবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ হারুন-অর-রশিদ জানান, শারমিনদের অভিযোগের কোন মামলা নেয়া যাবে না। তারা চাইলে আদালতে মামলা করতে পারে। এ বিষয়ে সিরাজদিখান ও টঙ্গীবাড়ী সার্কেল রাজিবুল ইসলাম জানান, শারমিনদের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।