আরাফাত রায়হান সাকিব: আজ ১৫ নভেম্বর। মহান মক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাসে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা হানাদার মুক্তদিবস আজ। ১৯৭১ সালের ১৪ নভেম্বর রাতে টঙ্গীবাড়ী উপজেলার মুক্তিযোদ্ধারা টঙ্গীবাড়ী থানায় হামলা চালায়। এ সময় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শামসুল হক, সরাফৎ হোসেন রতন, আ. রউফ, মোফাজ্জল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা স্বপন দাসগুপ্তসহ অন্য মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন। রাত ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণের মুখে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী একসময় মাইকে আত্মসমর্পণের ঘোষণা দেয়। পরে রাতেই পাকিস্তানি বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে। টঙ্গীবাড়ীর মুক্ত আকাশে ওড়ে বাংলাদেশী পতাকা। পরদিন ১৫নভেম্বর উপজেলার সর্বত্র ছিল বিজয় উল্লাস।

টঙ্গীবাড়ী উপজেলা শহীদ মিনার
এদিকে আজ শুক্রবার উপজেলা মুক্ত হওয়ার স্মরণীয় দিবসটি পালিত হচ্ছে সরকারি-বেসরকারিভাবে নানা কর্মসূচিতে। সকালে উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযুদ্ধ সংসদ কমান্ডের আয়োজনে শোভাযাত্রা বের হয়৷ শোভাযাত্রাটি উপজেলা বাজার ও বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্সের সামনে এসে শেষ হয়।
এতে অংশনেয় মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, উপজেলা প্রশানের কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ। পরে স্মৃতিস্তম্ভ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন ও মুক্তিযুদ্ধ সংসদ কমপ্লেক্সে আলোচনা সভা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।
ইউএনও ও উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ সংসদ কমান্ডার মোসাম্মৎ হাসিনা আক্তারের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ লুৎফর রহমান,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার কাজী ওয়াহিদ , বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক, কতুবউদ্দিন আহমেদ, জামাল হোসেন, প্রমুখ।এছাড়াও দিনব্যাপি উপজেলার বিভিন্ন সংগঠনের রয়েছে নানা কর্মসূচি।