নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার পদ্মার তীরবর্তী এলাকাগুলোতে ভয়াবহ ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে উপজেলার চারটি ইউনিয়নের প্রায় ১৫টি গ্রাম। উপজেলার হাসাইল-বানারী, দিঘীরপাড়, কামারখাড়া ও পাঁচগাঁও ইউনিয়নে পদ্মার তীরবর্তী গ্রামগুলোতে আতঙ্কে দিন কাটছে ওই এলাকার মানুষদের। গতকাল শনিবার সরেজমিনে উপজেলার কামারখাড়া ইউনিয়নের চৌষার গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, আকস্মিক পদ্মার ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে বিলীন হয়ে গেছে প্রায় ২০ থেকে ২৫টি পরিবারের ঘরবাড়িসহ বসতভিটা। কেউ কেউ ঘরবাড়ি ভেঙে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে রাখছেন। আর কিছু পরিবার এখনও আতঙ্ক নিয়েই বসবাস করছেন নদীর পাড়ে তাদের বসতভিটায়। সেখানে গিয়ে আরও দেখা যায়, টঙ্গীবাড়ী উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জিওব্যাগ নদীতে ফেলেও কোনভাবেই ভাঙ্গন রোধ করা যাচ্ছে না। উপজেলার চৌষার গ্রামের আব্দুল মকিম শেখ (৫৬) জানান, কোনকিছু আন্দাজ করার আগেই রাতে হঠাৎ পদ্মা নদীর তীব্র ঘূর্ণিস্রোতের কারণে নদীতে ভাঙন দেখা দেয়। এতে ঘরবাড়ি ও বসতভিটা বিলীন হয়ে গেছে পদ্মায়। এতে পরিবার নিয়ে বিপাকে আছেন তিনিসহ স্থানীয় আরো কিছু পরিবার। খোলা আকাশের নিচেই বসবাস করছেন পরিবার-পরিজন নিয়ে। কোথাও কোনো খালি জমি নেই ঘরবাড়ি ও তাদের বসবাস করার জন্য। তিনি আরও বলেন, পরিবার নিয়ে বসতভিটা হারিয়ে অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। এই মুহুর্তে আমি স্থানীয় ও প্রশাসনের কাছে খাদ্যসহ সকল প্রকার সহযোগিতা কামনা করছি। এ ঘটনায় টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা পারভীন জানান, ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। ওই এলাকার মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগও চলমান রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তাদের নদী ভাঙনের বিষয়টি জানানো হয়েছে এবং তারা সেখানে পরিদর্শনও করেছেন।