নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় যৌতুকের দাবীতে স্বামীর মারধরে গুরুতর আহত গৃহবুধূ রুবিনা আক্তারকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৭টায় উপজেলার আলদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত রুবিনা আলদি গ্রামের সেলিম মাদবরের স্ত্রী। স্থানীয় ও রুবিনার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ বছর পূর্বে রুবিনার সাথে পারিবারিকভাবে আলদী গ্রামের আমজাদ মাদবরের পুত্র সেলিম মাদবরের বিবাহ হয়। এরপর থেকেই সেলিম বিভিন্ন সময় যৌতুকের দাবীতে রুবিনাকে নির্যাতন করে আসছিলো। এ নিয়ে ২০১৫ সালে টঙ্গীবাড়ী থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ স্বামী সেলিমকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে সেলিম ছাড়া পেলে সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে রুবিনা আবারো তার সাথে ঘর-সংসার শুরু করে। তবে বিগত কয়েক মাস যাবত সেলিম আবারো যৌতুকের দাবীতে রুবিনাকে নির্যাতন শুরু করে। গতকাল শুক্রবার সকালে যৌতুকের দাবী করলে এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায় রুবিনাকে মারধর করে সেলিম। এসময় ইট দিয়ে তার মাথায় আঘাত করলে মাথা গুরুতর জখম হয়। পরে রুবিনার আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে টঙ্গীবাড়ী ও পরে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। ভুক্তভোগী রুবিনার ভাই সেলিম মাহমুদ বলেন, আমার বোন এখন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তাকে তার স্বামী, শ্বশুর ও ননদ মেরে রক্তাক্ত করেছে। আমরা এ নির্যাতনের বিচার চাই। এদিকে এ ব্যাপারে স্বামী সেলিম মাদবরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি কোন যৌতুক চাইনি। রুবিনাকে কে মেরেছে আমি জানিনা। আমাকে ও মেরেছে। আমি টঙ্গীবাড়ী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি। থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। দিঘীরপাড় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আজিজুল রহমান জানান, ঘটনাটি শুনেছি। স্বামীর পক্ষ থেকে একটি অভিযোগ করা হয়েছে। স্ত্রী পক্ষ চাইলে যেকোন সময় অভিযোগ করতে পারে। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।