নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর সেতুর ওপর থেকে টিকটক করতে ধলেশ্বরী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হওয়া রাসেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গত রোববার রাত ১০টার দিকে স্থানীয়রা সেতু থেকে একটু দূরে নদীর মধ্যে তার মরদেহ ভাসতে দেখে নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের দলকে খবর দিলে তারা সেখানে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। মুক্তারপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস আই মো. আকবর হোসেন এ খবর নিশ্চিত করেন। পুলিশ জানান, সেতুর আনুমানিক ১০০ গজ দূরে নদীর পশ্চিম পাড়ে মরদেহ ভেসে ওঠে। রাত ১১টার দিকে মরদেহটি নদী থেকে তোলা হয়। স্বজনেরা এরইমধ্যে মরদেহ শনাক্ত করেছে। প্রাথমিকভাবে মরদেহে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি বলে জানান এই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, গত শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে জেলা শহরের উপকণ্ঠ মুক্তারপুর এলাকার ষষ্ঠ বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু থেকে টিকটক করতে দুই যুবক নদীতে ঝাঁপ দেয়। মো. হামিম (১৮) নদী থেকে সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও রাসেল নিখোঁজ ছিল। জানা গেছে, দুই যুবক মুক্তারপুরে অবস্থিত ডিএম ইন্টারন্যাশনাল হ্যাঙ্গার কোম্পানিতে শ্রমিকের কাজ করত। গত শনিবার দুপুর ২টায় তাদের ডিউটি শেষ করে তারা নদীতে গোসলের উদ্দেশ্যে গিয়ে টিকটক করতে সেতুর ওপর থেকে ঝাঁপ দেয়। কিন্তু একজন সাঁতরে তীরে উঠলেও অপরজন নিখোঁজ ছিলো। পুলিশ জানায়, রাসেল বরিশালের হিজলা থানার বরজানিয়া গ্রামের হেলালউদ্দিনের ছেলে এবং মুন্সীগঞ্জের দশকানী এলাকার আনোয়ার হাওলাদারের ভাড়াটিয়া।
টিকটক করতে ধলেশ্বরীতে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হওয়া রাসেলের মরদেহ উদ্ধার
আগের পোস্ট