নিজস্ব প্রতিবেদক
সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী একদিকে টিকাদান কার্যক্রম চলতে থাকবে, অন্যদিকে ভ্যাকসিন আসাও অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘ভ্যাকসিন নিয়ে বর্তমানে কোনো সঙ্কট নেই। অথচ একটি মহল ভ্যাকসিন সঙ্কট আছে বলে আতঙ্ক তৈরির অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। এই স্বার্থান্বেষী মহল সঙ্কটে মানুষের মনোবল ভেঙে দেয়ার অপচেষ্টা করছে।’ সোমবার (২ আগস্ট) ওবায়দুল কাদের তার বাসভবনে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ভ্যাকসিন একদিকে আসতে থাকবে পাশাপাশি ভ্যাকসিন প্রদানের কর্মসূচিও চলতে থাকবে। এ নিয়ে সংশয়ের কোনো অবকাশ নেই।’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আগামী ৭ আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে দেশব্যাপী গ্রামপর্যায়ে গণটিকাদান কার্যক্রম। এ কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সমন্বয়ের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে ইতোমধ্যে সরকার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে।’ তিনি সংশ্লিষ্টদের ভ্যাকসিন প্রদানের প্রটোকল অনুসরণ করে ধৈর্যের সঙ্গে গ্রামের মানুষদের টিকা প্রদানের আহ্বান জানান। ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের টিকাদান কর্মসূচি সফল করতে প্রশাসনকে সহযোগিতার আহ্বান জানান। আওয়ামী লীগ করোনার শুরু থেকে জনমানুষের পাশে রয়েছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘টিকাদান কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী জনমানুষের পাশে থাকবে দলের নেতাকর্মীরা। বিএনপিকে সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপ্রসূত মিথ্যাচার বাদ দিয়ে করোনায় অসহায় ও আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মাঠে থেকে জনমানুষের পাশে রয়েছে, অন্যদিকে বিএনপি গৃহকোণে অবস্থান করছে।’ ‘করোনা সঙ্কটে সরকার কিছুই করছে না, বিএনপিই জনগণের সঙ্গে রয়েছে’, বিএনপি মহাসচিবের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘এটা তাদের অক্ষমতা আর ব্যর্থতা আড়াল করার অপপ্রয়াস।’ সরকার করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে লুকোচুরি করছে, বিএনপি নেতাদের এ হাস্যকর অভিযোগ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘করোনার নমুনা পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন, ফলাফলসহ প্রতিটি বিষয় প্রযুক্তির সহায়তায় এবং বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে, এখানে তথ্য লুকানোর কোনো সুযোগ নেই।’ গার্মেন্টস খুলে দেয়ার বিষয়ে বিএনপি মহাসচিবের নেতিবাচক মন্তব্য সম্পর্কে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ফখরুল সাহেব একদিকে শ্রমিকদের স্বার্থ নিয়ে কথা বলেন, অন্যদিকে গার্মেন্ট খুলে দিলেও আবার বিরোধিতা করেন।’ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘ইতোমধ্যে বিশ্ববাজারে পোশাক রফতানিতে বাংলাদেশ থেকে ভিয়েতনাম এগিয়ে গেছে, করোনাকালে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় পোশাক রফতানি কমেছে, এ প্রেক্ষাপটে রফতানি আদেশসমূহ কোনোভাবে বাতিল হোক তা চায় না সরকার। জীবন ও জীবিকার সাথে সমন্বয় করে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সরকার সচেষ্ট।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশের ভবিষ্যৎ এবং কল্যাণ চিন্তা করে সরকার বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।’
টিকার কোনো সঙ্কট নেই : কাদের
আগের পোস্ট