নিজস্ব প্রতিবেদক : মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন ও সুন্দর পরিচ্ছন্ন দেশ গঠনে অধিক পরিমাণে বৃক্ষ রোপন করতে হবে। ১৫ এর অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে প্রয়োজন বনায়ন। নদী, পানি, ভূমি সুরক্ষা ও পরিবেশ দূষণরোধ কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
গতকাল গজারিয়া উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে পরিকল্পিত ফল চাষ জোগাবে পুষ্টি সম্মত খাবার প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে র্যালি, প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান সাদীর সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, গজারিয়া সরকারী কলেজের অধ্যাপক মো. শহীদুল্লাহ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আতাউর রহমান খোকন নেকী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খাদিজা আক্তার আখি, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা তৌফিক আহমেদ নূর, কৃষিবিদ আক্তারুজ্জামান, গজারিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক মুন্সীগঞ্জের কাগজ এর সম্পাদক মোহাম্মদ আরফিন প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারের সময়কালে প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য ও বনাঞ্চল রক্ষা, পানিসম্পদের উন্নয়ন, নৌপথের নাব্যতা রক্ষা এবং সেচ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে গ্রহণ করা হয়েছে বহুমুখী পদক্ষেপ। ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে মধুমতি, গড়াই, যমুনা, বুড়িগঙ্গা, কুশিয়ারা প্রভৃতি নদীর দীর্ঘ নৌ-পথসমূহের নাব্যতা পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। মধুমতি ও গড়াই নদী খননের ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পানির প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় লবণাক্ততা হ্রাস, সুন্দরবন এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষা সম্ভব হচ্ছে। উপক‚লীয় বাঁধ সংরক্ষণ, মজবুতকরণ ও সম্প্রসারণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনে সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ দেশের অন্যতম হিসেবে সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলা এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় গ্রহণ করা হয়েছে জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা। সরকার নিজস্ব অর্থায়নে জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছে। বাস্তবায়িত হচ্ছে বহুমাত্রিক কর্মসূচি।
তিনি বলেন, আমরা আমাদের বাড়ির আঙ্গিনায়, পরিত্যক্ত জায়গায়, সড়কের ধারে, স্কুল-কলেজ-মসজিদ-মাদ্রাসা-মন্দির, সরকারি কার্যালয় সমূহের আঙ্গিনায় ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছ রোপন করতে হবে। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও জীব বৈচিত্র্য সুরক্ষায় এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বৃক্ষ রোপন বৃদ্ধি করতে হবে এবং যথেচ্ছা বৃক্ষ কর্তন বন্ধ করতে হবে।