রাজনৈতিক কর্মীদের দেশসেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে
-অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি
নিজস্ব প্রতিবেদক : মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, টেকসই উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক কর্মীদের স্বেচ্ছাসেবক হয়ে দেশসেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। নিজেদেরকে দেশের সাধারণ মানুষ, সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে আত্মনিবেদন করতে হবে।
গতকাল বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আল মাহমুদ বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- জেলা স্বেচ্ছাসেক লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম পিন্টু, সহ-সভাপতি শেখ মনিরুজ্জামান রিপন, অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা তপন প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, স্বেচ্ছাসেবা হলো টেকসই উন্নয়নের চতুর্থ ভিত্তিপ্রস্তর, যা হচ্ছে স্বেচ্ছাপ্রণোদিত কর্মকান্ড। টেকসই উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠায় রাজনৈতিক কর্মীদের স্বেচ্ছাসেবক হয়ে দেশসেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। নিজেদেরকে দেশের সাধারণ মানুষ, সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে আত্মনিবেদন করতে হবে। এজন্য প্রত্যেকটি রাজনৈতিক কর্মীকে দেশকর্মী হবে, সমাজকর্মী বা সমাজসেবক হতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস শুধু রাজনৈতিক ইতিহাসই নয় যার বিরাট একটি অংশ জুড়ে রয়েছে মানবসেবা, সমাজকল্যাণ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার ইতিহাস। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই পঞ্চাশের দশকে এদেশের মানুষের কল্যাণে, মানবসেবাকে আরও অধিকতর কার্যকর করতে আওয়ামী লীগের আদর্শে উদ্বুদ্ধ কর্মীদের নিয়ে একটি শক্তিশালী স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গড়ে তোলেন। যে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী পাকিস্তানী ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণের বিরুদ্দে গণমানুষের সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালনের পাশাপাশি বন্যা, খরা, ঘূর্ণিঝড়সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায় এবং মানবসেবায় আত্মনিয়োগ করে। মহান মুক্তিযুদ্ধেও স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী অত্যন্ত সাহসী ও কার্যকর অবদান রাখে। রাজনৈতিক বিবর্তনের ধারায় সময়ের প্রয়োজনে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ৯০’এর দশকের মধ্যভাগে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ’ নামে একটি স্বতন্ত্র সংগঠন গড়ে তোলেন।
তিনি বলেন, আমি স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনে কাজ করা অত্যন্ত গৌরব ও সম্মানের বিষয়। এজন্য সকলকে প্রকৃত সেবাধর্মে উদ্দীপিত হতে হবে। দুস্থ, দারিদ্র্য, লাঞ্ছিত, বঞ্চিত, রোগাগ্রস্থ, সমস্যাদীর্ণ মানুষের পাথে দাঁড়াতে হবে। প্রাকৃতিক দুর্বিপাকে মানুষ যখন বিধ্বস্ত তখন তাদের পাশে গিয়ে সেবার কোমল হাত প্রসারিত করে দেওয়া মানুষ হিসেবেই আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। বন্যার্ত, ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত, দুর্ভিক্ষপীড়িতদের সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। রক্তদানের মধ্য দিয়ে তারা মৃতপ্রায় রোগীকে ফিরিয়ে দিতে হবে প্রাণ। বৃক্ষরোপণে ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্ষা করতে হবে পরিবেশের ভারসাম্য। পল্লীর অবাঞ্ছিত জঙ্গল পরিষ্কার করে গড়ে তুলতে হবে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ।