নিজস্ব প্রতিবেদক
নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রীয় লঞ্চঘাট থেকে মুন্সীগঞ্জ লঞ্চঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা লঞ্চডুবির ঘটনার পর নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ নৌ রুটে অনির্দিষ্টকালের জন্য লঞ্চ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বিআইডব্লিউটিএ। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক মাসুদ কামাল। তিনি জানান, গতকাল সোমবার থেকে নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ নৌ রুটে চলাচলকারী সব লঞ্চ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এই রুটে ২০-২২টি লঞ্চ চলাচল করে সেগুলো বন্ধ থাকবে। যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় এ নৌ রুটে চলাচলকারীরা বিকল্প পথে মুক্তারপুর হয়ে সিনএনজি, বাস ও অটোতে চড়ে নারায়ণগঞ্জে যাচ্ছেন।
গত রোববার দুপুর ২টার দিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর কয়লাঘাট অংশে সিটি গ্রুপের মালিকানাধীন রুপসী-৯ কার্গো জাহাজের ধাক্কায় মুন্সীগঞ্জগামী লঞ্চ এম এল আশরাফউদ্দিন ডুবে যায়। এসময় লঞ্চটিতে প্রায় অর্ধশত যাত্রী ছিলো বলে লঞ্চে থাকা বেঁচে ফেরা কয়েকজন দাবি করেছেন। ঘটনার পর থেকেই যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে বিআইডব্লিউটিএ, নৌ বাহিনীর ডুবুরি দল, কোস্টগার্ড ও নৌ পুলিশ। নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ পুলিশের ওসি মো. মনিরুজ্জামান গত রবিবার রাতে জানান, সর্বমোট ৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ৪ জনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এরা সবাই মুন্সীগঞ্জের। ২ জনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। ডুবে যাওয়া লঞ্চটির মালিক মুন্সীগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনালের ইজারাদার দীল মোহাম্মদ কোম্পানি। লঞ্চে তার ছেলে তাপস (৩৬) থাকলেও সে প্রাণে বেঁচে গেছেন। দূর্ঘটনার সময় লঞ্চটি চালাচ্ছিলেন লঞ্চমাষ্টার মো. বিল্লাল হোসেন (৪৫)। তার বাড়ি মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার হাটলক্ষীগঞ্জ এলাকায়। লঞ্চ দূর্ঘটনার পর থেকে সে এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছে। গজারিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুস সালাম জানান, ৬-৭ জনসহ ঘাতক কার্গো রুপসী-৯ আটক করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৮ জন নিহতের মরদেহ পাওয়া গেলেও নাম-পরিচয় জানা গেছে ৪ জনের। এরা হলেন মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার উত্তর ইসলামপুর এলাকার জয়নাল ভূইয়া (৫০), রমজানবেগ এলাকার আরিফা (৩৫), তার শিশু সন্তান সাফায়েত (দেড় বছর), গজারিয়া উপজেলার ইসমানিরচর এলাকার শিল্পা রানী। বাকিরা অজ্ঞাত।
নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ নৌ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ
আগের পোস্ট