নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ জেলা থেকে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে যাওয়ার একমাত্র এই সড়ক। সিরাজদিখান উপজেলার তালতলা-ডহরী খালের উপর সিরাজদিখান ও টঙ্গীবাড়ী উপজেলার সংযোগ বেইলী ব্রিজটি অনেকবছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। কিছুদিন পরপর ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজটি জোড়াতালির কাজ করে সচল রাখে সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃপক্ষ। এতে করে প্রায় এই রুটে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। আগে কোন বিকল্প রাস্তার কথা না জানিয়ে ব্যস্ততম এই রুটটি আকস্মিক যানবাহন থামিয়ে জোড়াতালির কাজ শুরু করে কর্তৃপক্ষ। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় এ রুটের চলাচলরত হাজার হাজার মানুষের।
কিন্তু মুন্সীগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগ কর্তৃপক্ষ বলেছে শীঘ্রই সরকারি বিধি-বিধান অনুযায়ী নতুন ব্রিজের কাজ শুরু হবে। এ অবস্থার মধ্য দিয়েই প্রতিনিয়ত উপায়ান্তরহীন হয়ে এই ব্রিজ দিয়ে হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। গত কয়েকদিন ধরে ব্রিজটির মাঝের কয়েকটি লোহার প্লেট দেবে যাওয়ায় ভারী যানবাহন চলাচলে ভেঙ্গে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমন আশঙ্কা প্রতিনিয়ত হয়ে থাকে। সিরাজদিখান ও শ্রীনগর হয়ে মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও টঙ্গীবাড়ীর কোথাও যেতে হলে ২০-২২ কি. মি পথ ঘুরে যেতে হয়। বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহনের একই অবস্থা। আগে থেকে জানতে না পারায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় চলাচলকারীদের।
টঙ্গীবাড়ী উপজেলার বেতকা ইউনিয়নের আমজাত হোসেন তার বয়স্ক বাবাকে চিকিৎসা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে বাড়ি ফিরছিলেন, বাড়ির কাছে এসে ভোগান্তিতে পড়েছেন তিনি। কিছুদিন পরপর জোড়াতালি দিতে হয় ব্রিজটিকে। এ সময় রাস্তাটি ৫/৬ দিন বন্ধ থাকে বলে স্থানীয়রা জানান। তারা আরো জানান, দ্রুত ব্রিজটি সরিয়ে স্থায়ী ব্রিজ করা জরুরী। না হয় বড় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এই রুটে চলা যাত্রী মাসুদ বলেন, দুদিন পরপর এই ব্রিজের কাজ করে কেনো আমি বুঝি না? সরকারের লক্ষ লক্ষ টাকা ব্রিজের কাজের নামে আত্মসাৎ করে। তা না হলে কাজ শেষ হয় না কেনো।
মুন্সীগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো.আব্দুর রহমান জানান, মুন্সীগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধীন ঝুঁকিপূর্ণ সেতু কংক্রিটের ধারায় প্রতিস্থাপক নির্মিত ৪৮ টা বেইলি ব্রিজ ও সরু আর সি সি ন্যারো সেতু অতি শীঘ্রই পাস হয়েছে। শীঘ্রই সরকারি বিধি-বিধান অনুযায়ী শুরু করা হবে।
প্রতিদিন জেলার হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তি সিরাজদিখানে জোড়াতালিতে চলছে ঝুঁকিপূর্ণ বেইলী ব্রিজটি
আগের পোস্ট