নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা বাঙালি জাতিকে যে স্বপ্ন দেখিয়ে ছিলেন ও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা বাস্তবায়নও করছেন। বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা এক সফল রাষ্ট্রনায়কের নাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব, যোগ্যতা, নিষ্ঠা, মেধা-মনন, দক্ষতা, সৃজনশীলতা, উদারমুক্ত গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে উন্নীত হয়েছে। গ্রামে গ্রামে উন্নয়ন হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার মুন্সীগঞ্জের মেঘনা নদীর তীরবর্তী আধারা ইউনিয়নের মান্দারতলী, বালুরমাঠ, কাচারীঘাট,জাজিরা কঞ্জুনগর, সাতভাইয়াকান্দি, ছয়ভাইয়াকান্দি, বকচর, শিকদারকান্দিসহ ১০টি গ্রামে জনসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ জেলা বারের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আমান উল্লাহ প্রধান শাহিন, মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহাসনি কল্পনা, আধারা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, কাউন্সিলর জাকির হোসেন, আওয়ামীলীগ নেতা কমল উদ্দিন সেলিমসহ নানা শ্রেণী মানুষ।
তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একসময় দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষে জর্জরিত যে বাংলাদেশ টিকে থাকার সংগ্রাম করতো সেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বজয়ের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে চলছে। বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রাণনাশের অপচেষ্টায় অন্তত ১৯ বার উপর হামলা হয়েছে। কিন্তু চলার পথে তিনি থমকে দাঁড়াননি। হতোদ্যম হননি। ভীরুতাকে পরাভূত করেছেন। মৃত্যুকে পায়ের ভৃত্য মনে করে অবিরাম পথে চলছেন। লক্ষ্য তার একটাই পিতা শেখ মুজিবর রহমানের সূচিত পথ ধরে বাংলার মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। হাজার বছরের পরাধীনতা শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হয়ে বাঙালি জাতি অর্জন করে স্বাধীন ভূ-খন্ড, নিজস্ব মানচিত্র ও পতাকা। স্বাধীনতা লাভের ১ বছরের মধ্যেই জাতির পিতার নেতৃত্বে ১৯৭২ সালে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে বাংলাদেশের সংবিধান প্রণীত হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রধান ৪টি স্তম্ভ গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, বাঙালি জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে সংবিধানের মূলনীতি হিসেবে সন্নিবেশিত করা হয়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এই অনন্য সংবিধানের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি মানুষের বিচার পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করেন।
তিনি আরও বলেন, জনগণের আশার বাতিঘর, গণতন্ত্রের মানসকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আইনের শাসনে বিশ্বাস করেন। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় পিতার মতোই গগনচুম্বী দৃঢ়তা ও মানসিক শক্তি নিয়ে দেশ পরিচালনা করছেন তিনি। জননেত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে দীর্ঘ ২১ বছর পর বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচারকার্য সম্পন্ন হয়েছে; চার দশক পর একাত্তরের নরঘাতক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্য সম্পন্ন হচ্ছে এবং শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকর করা হয়েছে। ১৪ বছর পর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিচারহীনতার কলঙ্ক থেকে মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশ। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মানুষের অধিকার নিশ্চিত হচ্ছেÑ মানুষ ন্যায় বিচার পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।