নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, সফল রাষ্ট্রনায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার গৃহীত ১০টি বিশেষ উদ্যোগ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির প্রধানতম স্তম্ভ। এই উদ্যোগসমূহ পরিপূর্ণ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে আগামী প্রজন্মের জন্য একটি সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত-আধুনিক কল্যাণকর শান্তিপূর্ণ রাষ্ট্র বিনির্মাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিরন্তন প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন।
গতকাল সোমবার মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার গৃহীত ১০টি বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধক ও প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুসাইন আল জুনায়েদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিতকরণের মধ্য দিয়ে সমৃদ্ধির অভিযাত্রা দুর্বার গতিতে এগিয়ে নিতে সফল রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় চলমান বেশকিছু উন্নয়ন প্রকল্পকে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দিয়ে ১০টি বিশেষ উদ্যোগ হিসেবে গ্রহণ করেছেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এদেশের মানুষের কল্যাণেই নিজের সকল অনুভূতিকে সমার্পিত করেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক দর্শন হলো এদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তিÑ একটি উন্নত সমৃদ্ধ জাতি রাষ্ট্র গঠন। বঙ্গবন্ধু কন্যার স্বপ্নের পথ বেয়ে ১৯৯৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় সর্বমোট ৭ লক্ষ ৭ হাজার ৮৪০টি পরিবারকে গৃহ নির্মাণের মাধ্যমে পুনর্বাসিত করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, টেকসই নিরাপত্তাবেষ্টনীর মাধ্যমে জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা, অতিদরিদ্র ও দুস্থদের জন্য বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ, কাজের বিনিময়ে খাদ্য ও টেস্ট রিলিফ, জিআর ছাড়াও সরকার উদ্ভাবিত একটি বাড়ি একটি খামার, আশ্রয়ণ, গৃহায়ণ, আদর্শ গ্রাম, গুচ্ছ গ্রাম, ঘরে ফেরা প্রভৃতি কর্মসূচির পাশাপাশি ওএমএস, ফেয়ার প্রাইস কার্ড, ভিজিডি, প্রতিবন্ধীদের জন্য ভাতা, বিধবা, স্বামী নিগৃহীতা ও দুস্থ মহিলা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা, চর জীবিকায়ন প্রভৃতি কর্মসূচি বাস্তবায়ন হচ্ছে। এছাড়া দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যে নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য ক্ষুদ্রঋণ, ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত গোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচি বাস্তবায়ন হচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশের ২৯ শতাংশ পরিবারকে সামাজিক সুরক্ষা বলয়ের কোনো না কোনো ভাতার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগ ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ আজ শুধু কথার কথা নয়Ñ দৃশ্যমান বাস্তবতা। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে আমরা এখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নিজেদের সুসংহত অবস্থান নিশ্চিত করতে কাজ শুরু করেছি। এজন্য আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক বিজ্ঞান, তথ্যপ্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়নে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আগামী বিশে^র সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে ব্যাপক শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান ও তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষতার জন্য বিদ্যুৎ খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সবার জন্য বিদ্যুৎ প্রাপ্তির সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। পাশাপাশি নিজেদের জনশক্তির পরিপূর্ণ ব্যবহারের জন্য মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী সমাজের কর্মসংস্থান ও ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার।