নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় স্বার্থে চট্টগ্রাম বন্দর সচল রাখতে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বন্দর ভবনে সাংবাদিকদের এ প্রতিজ্ঞার কথা জানান তিনি। এর আগে বন্দর ভবনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন প্রতিমন্ত্রী। নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২৬ মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত সাংবাদিকরা সাহস দিয়েছেন। যদিও নেতিবাচক সংবাদের জন্য পাঠক উন্মুখ হয়ে থাকে। চট্টগ্রাম বন্দর হচ্ছে বাংলাদেশের লাইফ লাইন। আমরা পণ্য ওঠানামার দায়িত্বে থাকি। আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ চট্টগ্রাম বন্দর সচল রাখতে। বৈশ্বিক সমস্যা মোকাবিলায় আমরা সচেষ্ট। বন্দরের লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। এ ঝুঁকি হচ্ছে আগামী প্রজন্মের জন্য। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জনগণের সঙ্গে, বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কথা বলছেন। ১৬ কোটি মানুষের দায়িত্ব সচেতনভাবে এ সংকট মোকাবিলা করা। যেখানে সহযোগিতার প্রয়োজন সেখানে তা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বন্দরের শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কাজ করতে হবে। বন্দর কর্তৃপক্ষ আন্তরিক। সংকট মুহূর্তে প্রণোদনা নয়, দায়িত্বের বিষয়। বন্দরে কাজ করতে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হলে কর্তৃপক্ষ সুদৃষ্টি দিয়ে দেখবে। করোনার জন্য বিশ্বের কেউ প্রস্তুত ছিলো না। তিনি জানান, বহির্নোঙরে ৩৩টি জাহাজ অপেক্ষমাণ আছে। সেগুলোতে ৩৬ হাজার কনটেইনার আছে। বন্দর থেকে অফডকে কনটেইনার পাঠিয়ে জাহাজের কনটেইনার নামাতে হবে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, করোনা ভাইরাস আসার পর সব কর্মকান্ড বন্ধ হলেও ব্যতিক্রম চট্টগ্রাম বন্দর। অনেক স্টেকহোল্ডার বন্দরের। গণমাধ্যমের সাপোর্ট আমরা পেয়েছি। পজিটিভ গ্রোথ রেট ধরে রাখার মাধ্যম বন্দর। তাই বাধা চিহ্নিত করে তা অপসারণের চেষ্টা করছি।
বন্দর সচল রাখতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ: নৌ প্রতিমন্ত্রী
আগের পোস্ট