নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জে চলমান বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেড়েই চলেছে। জেলার ৪টি উপজেলা টঙ্গীবাড়ী, লৌহজং, শ্রীনগর ও গজারিয়ায় এ পর্যন্ত ১৭শ ২টি পুকুরের মাছ ও পোনা বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এতে মৎস্যখামারীদের ক্ষতি পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ২ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সুনীল মন্ডল মুন্সীগঞ্জের কাগজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এদিকে বন্যা পরিস্থিতি চলতে থাকলে ক্ষতির পরিমাণ বাড়তে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। মৎস্য কর্মকর্তা জানান, বৃহস্পতিবার বন্যার পানিতে নতুন করে ৬০ জন মাছ চাষীর মোট ৩৯.৭৫ হেক্টর আয়তনের ১৩৫টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। এ নিয়ে জেলার ১৭শ ২টি পুকুরে মাছ ভেসে গেছে। এ পর্যন্ত মোট ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ৮২৪ জন চাষী। সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে শ্রীনগর ও লৌহজং উপজেলার মৎস্যচাষীরা। সরেজমিনে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার বন্যা কবলিত দিঘীরপাড়, হাসাইল, কামারখাড়া এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কোন কোন পুকুরে পার ভেঙে আবার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় মাছ ও পোনা ভেসে গেছে। অনেক পুকুরের চারপাশে জাল দিয়ে মাছ আটকে রাখার চেষ্টা করা হলেও শেষ রক্ষা হয়নি কারো। এদিকে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে লোন নেওয়া ও লক্ষ লক্ষ টাকা পুঁজি বিনিয়োগ করা মৎস্য খামারীরা ক্ষতির মুখে দিশেহারা হয়ে পড়ছে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য খামারীদের সরকারি সহযোগিতা করা হবে বলে মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে। এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সুনীল মন্ডল জানান, বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসকের সাথে কথা হয়েছে। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করার কথা বলেছেন। প্রতিদিনি তালিকার তৈরি করা হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য খামারীদের জন্য সরকারি বরাদ্দ দেওয়া হবে।