নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন, প্রত্যেকটি বাংলা বর্ণমালার জাগরণী চেতনা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বাঙালির কণ্ঠে উচ্চারিত শব্দের প্রাণশক্তি। মুক্তিকামী মানুষের স্লোগানের নাম শেখ মুজিব। তিনি বাঙালি জাতির স্বাধীনতা নামক মহাকাব্যের মহানায়ক, পরাধীনতার শৃঙ্খল মুক্তির মহান পথ প্রদর্শক, আবহমান বাংলা ও বাঙালির হাজার বছরের আরাধ্য পুরুষ।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাব আয়োজিত শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মীর নাসির উদ্দিন উজ্জ্বলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমানুল্লাহ শাহীন, মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ খোকা, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলেছিলেনÑ “বাঙালি যেদিন ঐক্যবদ্ধ হয়ে বলতে পারবে ‘বাঙালির বাংলা’ সেদিন তারা অসাধ্য সাধন করবে।” এজন্য নজরুল একটি সোনার ছেলে ভিক্ষা চেয়েছিলেন। যে বলবেÑ ‘আমি ঘরের নই, আমি পরের। আমি আমার নই, আমি দেশের।’ বাঙালি জাতির পরম সৌভাগ্য এমন একটি ‘সোনার ছেলে’ জন্মেছিল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। যে ছেলেটি দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করতেও পিছপা হননি। শেখ মুজিবুর রহমান নামের সেই সোনার ছেলের কল্যাণেই ‘বাঙালির বাংলা’ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর সেই সোনার ছেলেটি হয়ে উঠেছেন বাঙালি জাতির পিতা।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর বাল্যকাল টুঙ্গীপাড়া গ্রামেই কাটে। টুঙ্গীপাড়া গ্রামেই শেখ মুজিবুর রহমান ধন ধান্যে পুষ্পে ভরা শস্য শ্যামলা রূপসী বাংলাকে দেখেছেন। তিনি আবহমান বাংলার আলো-বাতাসে লালিত ও বর্ধিত হয়েছেন। তিনি শাশ্বত গ্রামীণ সমাজের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না ছেলেবেলা থেকে গভীরভাবে প্রত্যক্ষ করেছেন। গ্রামের মাটি আর মানুষ তাঁকে প্রবলভাবে আকর্ষণ করতো। শৈশব থেকে তৎকালীন সমাজ জীবনে তিনি জমিদার, তালুকদার ও মহাজনদের অত্যাচার, শোষণ ও প্রজা পীড়ন দেখে চরমভাবে ব্যথিত হতেন। গ্রামের হিন্দু, মুসলমানদের সম্মিলিত সামাজিক আবহে তিনি দীক্ষা পান অসাম্প্রদায়িকতার। আর পড়শি দরিদ্র মানুষের দুঃখ, কষ্ট তাঁকে সারাজীবন সাধারণ দুঃখী মানুষের প্রতি অগাধ ভালবাসায় সিক্ত করে তোলে।
তিনি বলেন, আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে জাতির পিতার আদর্শে গড়ে তুলতে হবে। দেশমাতাকে দেশের মানুষকে ভালোবাসতে শেখাতে হবে। তাদের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে হবে।