লৌহজংয়ের বসতবাড়ীর ঘরগুলোতে পানি উঠে পড়ায় বেড়েছে সাপ ও কীট-পতঙ্গের উৎপাত
নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের পদ্মা, মেঘনা ও ধলেশ্বরী নদীতে গত তিন দিন ধরে পানি না বাড়লেও গত মঙ্গলবার রাত থেকেই আবারো পানি বাড়তে শুরু করেছে। এসব এলাকার চারদিকেই থৈ থৈ পানি। বন্যার পানিতে ভাসছে লৌহজং, শ্রীনগর, টঙ্গীবাড়ী, সিরাজদিখান উপজেলার ২১টি ইউনিয়নের অসংখ্য গ্রাম। পানিতে তলিয়ে গেছে অসংখ্য মাছের ঘের ও হাট বাজারের দোকানপাট। এতে করে পানিবন্দী হয়ে দুর্ভোগের কবলে পড়েছে জেলার প্রায় ৫০ হাজার পরিবার। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকটের। সেই সাথে বসতবাড়ীর ঘরগুলোতে পনি উঠে পড়ায় বেড়েছে সাপ ও কীট-পতঙ্গের উৎপাত। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের কারণে ইতিমধ্যে তলিয়ে গেছে হাজার হাজার ঘরবাড়ী ও ফসলী জমি। বন্যার পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। গতকাল বুধবার সকালে ভাগ্যকুল পয়েন্টে বিপদসীমার ৭৮ ও মাওয়া পয়েন্টে ৭১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পদ্মার পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় লৌহজংয়ের চরাঞ্চলের প্রায় শতাধিক পানিবন্দী পরিবারের মাঝে শুকনো খাবার ও পানি বিশুদ্ধকরণের ট্যাবলেট বিতরণ করেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার। এ সময় তার সাথে ছিলেন মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মনিরুজ্জামান তালুকদার, অতিঃ জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দীপক কুমার রায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মতিন সরকার, নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুল কবির, লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কাবিরুল ইসলাম খান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাশেদুজ্জামান প্রমুখ। জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, মুন্সীগঞ্জের ৬টি উপজেলার প্রায় ৩৩ হাজার পরিবার পানিবন্দী রয়েছে। অপরদিকে শ্রীনগর-দোহার সড়ক ও মুন্সীগঞ্জ-লৌহজং-মাওয়া-বালিগাঁও প্রধান সড়ক বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়ায় যানবাহন চলাচল হুমকির মুখে পড়েছে।