নিজস্ব প্রতিবেদক
চোরকে একদিনের রিমান্ড নিয়েও পুলিশ কোন চোরাই মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। তাতে মামলার বাদি পুলিশের এ ঘটনায় অনেকটাই হতাশ হয়েছেন বলে অভিমত প্রকাশ করেছেন। এ নিয়ে রহস্যের দানা বেধে উঠেছে বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। স্থানীয়ভাবে অভিযোগ উঠেছে, চোরকে এ যাত্রা থেকে বাঁচাতে একটি প্রভাবশালী মহল ইতোমধ্যে মাঠে নেমে পড়েছে। তারা বিভিন্ন মহলে তদবির করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যার কারণে রিমান্ডের ঘটনাটি আলোর মুখ দেখেনি বলে অনেকেই এ বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে করছেন।
মামলার আর্জি সূত্রে জানা যায়, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মহাকালী ইউনিয়নের দক্ষিণ কেওয়ারের সাতানিখিল গ্রামের এটিএম গোলাম মোস্তফা গত ২১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘরে তালা দিয়ে ১০ দিনের জন্য তাবলীগ জামায়াতের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন। নির্ধারিত তারিখের মধ্যে দুপুরের দিকে তিনি বাড়ি ফিরে দেখেন তার বসতঘরের জানালার গ্রীল ভাঙ্গা। তিনি বাড়িতে না থাকার সুযোগে চোর তার বাড়ির মূল্যবান মালামাল চুরি করে নিয়ে যায় বলে মামলার আর্জিতে উল্লেখ করা হয়েছে। চুরি যাওয়া মালামালের ক্ষতির পরিমাণ হচ্ছে ২ লাখ ২৯ হাজার ৫শ’ টাকা মাত্র। এ বিষয়ে তিনি মুন্সীগঞ্জ থানা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন গত ২ অক্টোবর। তার মামলা নং হচ্ছে ৫৪২। এ মামলা হওয়ার পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরির্দশনে যান।
এসময়ে সন্দেহজনক চোর ইমরান হোসেন বাবুর বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালায়। তার পিতার নাম মৃত হারেস বেপারি। বাড়িতে তল্লাশির সময় চোর বাবুর শয়নকক্ষের তোষকের নিচ থেকে চুরি যাওয়া ওয়ালটনের টাচ মোবাইল ফোন পুলিশ উদ্ধার করে। হাতেনাতে চোরাই মাল মোবাইল উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশ চোর বাবুকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। আরো চোরাই মালামাল উদ্ধারের লক্ষ্যে পুলিশ চোর বাবুকে আদালতে সোপর্দের সময় রিমান্ড আবেদন করে। বিজ্ঞ আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। পরে পুলিশ বাবুকে গত ১৪ অক্টোবর বুধবার রিমান্ডে আনেন। একদিনের রিমান্ড শেষে বাবুকে গত শুক্রবার বিশেষ আদালতে সোপর্দ করা হয়। মামলার বাদি এটিএম গোলাম মোস্তফা জানান, বাবুর বাড়ি থেকে মোবাইল উদ্ধারের সময় তার কাছ থেকে ২ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। সেই হিসেবে বাবুর বিরুদ্ধে চুরির মামলাসহ মাদক দ্রব্য আইনে আরেকটি মামলা হওয়ার কথা ছিল বলে তিনি দাবি করেন। কিন্তু এতোদিন অতিবাহিত হলেও চুরি যাওয়া কোন মালামাল পুলিশ উদ্ধার করতে পারেননি বলে শোনা যাচ্ছে।