নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস বলেছেন- মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধের ভিত্তিতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। বাংলাদেশের বিশাল জনসংখ্যাকে জনশক্তি তথা মানবসম্পদে পরিণত করে একটি আধুনিক উন্নত সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল রবিবার জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. মো. গোলাম মোস্তফা, সিভিল সার্জন ডা. আবুল কালাম আজাদ, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক মীর নাসির উদ্দিন উজ্জ্বল প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করে এ বিশাল জনগোষ্ঠীকে বিজ্ঞানসম্মত, পরিকল্পিতভাবে এই বিপুল জনসংখ্যাকে দক্ষ, কারিগরি, মেধা, জ্ঞানভিত্তিক জনশক্তি তথা মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। একইসাথে জনসংখ্যা বৃদ্ধির বর্তমান হারকে লাগাম টেনে ধরতে হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের কর্মসংস্থান নীতির মূল লক্ষ্য উৎপাদনমুখী কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং দেশের অদক্ষ জনগোষ্ঠীকে আধা দক্ষ ও দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরিত করা। এ লক্ষ্য অর্জনে মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমন্বয় জোরদার করা হয়েছে। মানবসম্পদ উন্নয়ন, বৃত্তি এবং পেশা শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাকে সমন্বিত ও প্রসারিত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকেও উচ্চ পদমর্যাদার চাকরির প্রতীক্ষায় না থেকে উৎপাদনমুখী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে হবে; নতুন উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তুলতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে হয়ে উঠতে হবে দক্ষ মানবসম্পদ। একই সাথে আর্থ-সামাজিক কর্মকান্ডে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে।
তিনি বলেন, বৈশি^ক মহামারি করোনা ভাইরাসে বর্তমান বিশে^র অর্থনৈতিক অবস্থা বিপর্যস্ত এবং মানুষের জীবন-জীবিকা পর্যুদস্ত হয়ে পড়েছে। প্রাণঘাতী এই মহামারি একদিকে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছে, অন্যদিকে অর্থনৈতিক ক্ষয়-ক্ষতিও বৃদ্ধি করে চলেছে। তাই এই সঙ্কট উত্তরণে সকলকে সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সমাজের শতভাগ মানুষের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে এবং সকলকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে চলতে সচেতন করে তুলতে হবে।