নিজস্ব প্রতিবেদক
হাসপাতালের নার্সের শরীরে করোনা শনাক্ত হওয়ায় মিরকাদিম পৌর মেয়র ও ডাক্তার লাবনীর মালিকানায় ফাতেমা জেনারেল হাসপাতল লকডাউন করেছে সদর উপজেলা প্রশাসন। গতকাল সোমবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ম্যাজিষ্ট্রেট শেখ মেজবাহ উল সাবেরিন হাসপাতালটি লকডাউন করেন। এসময় হাসপাতালটিতে কর্মরত সকল স্টাফকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত হাসপাতালটি বন্ধ থাকবে বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, মিরকাদিম পৌর মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহীন ও ডাক্তার লাবনীর মালিকানাধীন ফাতেমা জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত একজন নার্স (২৪) এর গতকাল সোমবার করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে। এর কয়েকদিন আগে তার সোয়াব সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য বিভাগ। সেই নারী নার্স করোনা উপসর্গ নিয়ে দুইদিন আগে হাসপাতালটিতে ঘুরে যাওয়ার ফলে পুরো হাসপাতাল লকডাউন করা হয়েছে। হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে হাসপাতালটির সকল স্টাফকে।
হাসপাতালটির মালিক মিরকাদিম পৌর মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহীন জানান, হাসপাতালের এক নারী স্টাফের আক্রান্তের খবর পাওয়ার সাথে সাথে হাসপাতালের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে আক্রান্ত ওই নারী স্টাফ ১৫ দিন যাবত ছুটিতে ছিলেন। গত দুইদিন আগে তিনি হাসপাতালে বেতন নিতে আসেন। তাই ঝুঁকি এড়াতে হাসপাতালের কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।
লকডাউনের বিষয়টি নিশ্চিত করে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ম্যাজিষ্ট্রেট শেখ মেজবাহ উল সাবেরিন বলেন, বেসরকারি হাসপাতালটির একজন নার্সের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। তাই ঝুঁকি এড়াতে আপাতত হাসপাতালটি লকডাউন করা হয়েছে এবং তাদের সকল স্টাফকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত হাসপাতলটি লকডাউনে থাকবে বলেও জানান তিনি।