নিজস্ব প্রতিবেদক: মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিম বাজারে সরেজমিনে গিয়ে অলি গলিতে ঘুরে ফিরে দেখা যায়,১। মোঃ আব্দুল খালেক,২।মোঃ আক্তার হোসেন, ৩। মোঃ সেকান্দার আলী ও তাদের ব্রেকারী গুলোতে,কিছু নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে বেকারি পন্য। পাড়া-মহল্লার দোকান থেকে শুরু করে স্কুল গেটের বাচ্চাদের কাছে বিক্রি হচ্ছে ক্রিমবিস্কুট, চানাচুর, কেক, পাউরুটি সহ নানা বাহারি মুখরোচক খাবার। কখনও কি কেউ ভেবে দেখেছেন এই খাবারগুলো কোথায় তৈরি হচ্ছে? কী দিয়ে তৈরি হচ্ছে? এসব খাদ্যপণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ ও যাচাই করার দায়িত্বে যারা আছেন তারা তাদের দায়িত্ব কতটা পালন করছেন? সরেজমিনে অনুসন্ধান করে দেখা যায়, সদর উপজেলার মিরকাদিমের বাজারে সবগুলো বেকারিগুলোতে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে নানান ধরনের খাবার তৈরি হচ্ছে।
স্যাঁতস্যাঁতে নোংরা ও ফাংগাসযুক্ত পরিবেশে ভেজাল ও নিম্নমানের উপকরণ দিয়ে অবাধে তৈরি করা হচ্ছে বেকারি সামগ্রী। আমাদের অনুসন্ধানি ক্যামেরায় উঠে আসে মিরকাদিমের বাজারের বেকারি গুলোর সার্বিক চিত্র। কারখানার ভেতরে যেখানে তৈরি খাবার রাখা আছে সেখানেই আটা, ময়দার পাশেই রয়েছে ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ, কেমিকেল ও পোড়া পাম ওয়েলের ময়লাযুক্ত কড়াই ।
আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে নানা ধরনের তৈরি পণ্য। শ্রমিকেরা খালি পায়ে, খালি গায়ে নোংরা পরিবেশে এসব পণ্যের পাশ দিয়ে হাঁটাহাঁটি করছেন। আটা ময়দা প্রক্রিয়াজাত করানো কড়াইগুলোও রয়েছে অপরিস্কার ও নোংরা ডালডা দিয়ে তৈরি করা ক্রিম রাখা পাত্রগুলোতে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছি ভনভন করছে এমনকি ময়দা মাখানোর জন্য ইট দিয়ে বানানো চৌবাচ্চার মধ্যেই পড়ে মরে আছে মাছি ও তেলাপোকার বেকারির এই নোংড়া পরিবেশে বানানো হচ্ছে ক্রিমবিস্কুট, এসব বেকারির মালিকরা মোড়ক বিহীন ভেজাল খাদ্য সামগ্রী উৎপাদন করছে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে।
এগুলো বিভিন্ন চায়ের দোকানে সরবরাহ করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এসব বেকারির উৎপাদন ও মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ বসানো নেই। সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন মহলের কাছে সচেতন সকলের দাবি মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিম বাজারে অবৈধ নোংরা পরিবেশের বেকারি গুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হউক।