কোনো নিরপরাধ মানুষকে মামলা, গ্রেপ্তার, হয়রানি করা হচ্ছে না — মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার
নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে মুন্সীগঞ্জের বিএনপির দলীয় নেতা-কর্মীরা আত্মগোপনে রয়েছেন। গত সোমবার রাত থেকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত মুন্সীগঞ্জ সদর, শ্রীনগর, সিরাজদিখান ও টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আরও ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলীয় নেতা-কর্মীদের করা মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। এসব মামলায় গত ৪ দিনে মুন্সীগঞ্জে বিএনপির ৩৩ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে দলের স্থানীয় নেতাদের দাবি, গ্রেপ্তারের সংখ্যা আরও বেশি।
মুন্সীগঞ্জ শহর বিএনপির আহ্বায়ক এ কে এম ইরাদত মানু বলেন, নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলার পাশাপাশি গ্রেফতার করা হচ্ছে। নতুন করে যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তারা হলেন- সদর উপজেলার বজ্রযোগিনী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম, মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কাইয়ুম মৃধা ও সাধারণ সম্পাদক তপন মোল্লা, টঙ্গীবাড়ী উপজেলার ধামারন ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি জামাল মোল্লা। এছাড়া সিরাজদিখান থানা এলাকার বয়রাগাদি ও ইছাপুরা এলাকা থেকে তিনজন এবং শ্রীনগর থানা এলাকা থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম জানা যায়নি। সংশ্লিষ্ট থানা সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান আল-মামুন বলেন, কোনো নিরপরাধ মানুষকে মামলা, গ্রেপ্তার, হয়রানি করা হচ্ছে না। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় বিস্ফোরণ, ভাঙচুর ও মারধরের ঘটনায় নিয়মিত মামলা রয়েছে। কোনো নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করা হচ্ছে না। আটক করে কারও নামে মামলা দেওয়া হয়নি। যাদের নামে মামলা রয়েছে তাদেরই গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান থাকবে।