আরাফাত রায়হান সাকিব : মুন্সীগঞ্জের উজান থেকে নেমে আসা বানের পানিতে বন্যা পরিস্থিতির আভাস দেখা দিয়েছে। বানের পানিতে নদী বেষ্টিত জেলার নদী গুলোতে দেখা দিয়েছে তীব্র স্রোত। উজান থেকে নেমে আসা পানিতে ইতিমেধ্যই প্লাবিত হয়েছে জেলা নর্দী সংলগ্ন নিন্মাঞ্চল গুলো। বিভিন্ন স্থানের পানির তীব্র স্রোতে দেখা দিয়েছে ভাঙন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্রে জানাগেছে- জেলা সংলগ্ন পদ্মা ও মেঘনা নদীতে বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে পানি। এরমধ্যে পদ্মার ভাগ্যকূল পয়েন্ট দিয়ে পানি বিপদ সীমার ৩০সে.মি. উপর দিয়েছে বইছে।
জেলার লৌহজং উপজেলার হলদিয়া, ব্রাক্ষণগাও, গাওদিয়া, শামুরবাড়ি, বাজার এলাকা, দোহরী বাজার, টঙ্গীবাড়ী উপজেলার গারুগাও, কামাড়খাড়া, দীঘিরপার, গজারিয়া উপজেলার ইসমানির চর এলাকার নিন্মাঞ্চলগুলে বানের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকা গত ২ইদিনে পরিদর্শন করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড মুন্সীগঞ্জের সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে গতকাল শনিবার ভোরে লৌহজংয়ের কলমা ইউনিয়নের বাজার সংলগ্ন পদ্মার শাখা খালে তীব্র স্রোতে পশ্চিম বড়াকল রাস্তা ভেঙ্গে গেছে। ঐ এলাকার নিন্মাঞ্চল বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়েছে। মানুষ পানিবন্ধী হওয়া আশংকা দেখা দিয়েছে স্থানীয় এলাকবাসীর। তবে রাস্তা সংস্কারে কাজ করছেন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান। কলমা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোতালেব হোসেন বলেন, পদ্মার তীব্র স্রোতের ফলে শাখা খালদিয়ে পানি ডুকে স্রোতের চাপে রাস্তাটি ভেঙ্গে যায়। রাস্তাটি সংস্কারে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাবিরুল ইসলাম খান দৈনিক মুন্সীগঞ্জের কাগজকে জানান, আকস্মিক ভাবে খুব দ্রæত বানের পানি চলে এসেছে, তবে পানি সম্পদ মন্ত্রনালয় কতৃপক্ষের দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী বন্যা কবলিত এলাকা সমূহে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভাঙ্গন কবলিত এলাকা গুলোতে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন রোধে করার চেষ্টা চলছে। এছাড়াও আক্রান্তদের তালিকা তৈরি করে তাদের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
দৈনিক মুন্সীগঞ্জের কাগজকে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডে মুন্সীগঞ্জের সহকারী উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী খন্দকার মুঈনুর রহমান জানান, পদ্মা ও মেঘনায় পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে, তবে গত শুক্রবার চেয়ে শনিবার নদীতে স্রোত কম ছিলো, আগামী ২-১দিনের মধ্যে বন্যা পরিস্থিত স্থিতিশীল হতে পারে, সে ক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমান কম হবে। তবে পরিস্থিতি স্থিতিশীল না হলে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে , পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভাঙ্গন ও বন্যা কবলিত ১৪টি পয়েন্ট চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব স্থান পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।