নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জে মাদবরকান্দিতে আলিমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গত শুক্রবার আলিমের ময়নাতদন্ত শেষে তার মৃতদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। আছরের পর তার জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর পঞ্চায়েত কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। সেখানে চলে শোকের মাতম। গ্রামবাসীরা এ ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। তারা হলেন- এসহাক, মাদবর ও দিদার। হামলার ঘটনায় জড়িত থাকায় অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে রাতের আঁধারে গরু-বাছুর নিয়ে গ্রাম থেকে পালিয়ে গেছেন। অনেকে আবার ঘরের তালা না লাগিয়ে খোলা ঘর রেখেই পালিয়েছে। ঘরের ভিতরের মালামাল অগোছালো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তাড়াহুড়া করে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় নিজের মোবাইলও রেখে গেছেন। সেটি কিছুক্ষণ পরপরই বেজে উঠছে বলে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন। এরমধ্যে কেউ কেউ পালের হাঁস-মুরগী খোয়াড়ে বন্দি করে রেখে গেছেন। সেগুলো দিনভর ডাকাডাকি করছে। অনেকে ধারণা করছেন, প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে কিংবা বাড়ি-ঘরে লুটের মামলা দিতে পরিকল্পিতভাবে ঘর দুয়ার খোলা রেখে হামলাকারীরা পালিয়েছে। এখানকার হামলার ঘটনার সাথে জড়িত মেম্বার হাকিম এ গ্রামে থাকেন না। তিনি থাকেন কামারখাড়া এলাকায়। মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার শিলই ইউনিয়নে ট্রলার ভাড়াকে কেন্দ্র করে মেম্বার ও তার দলবলের হামলায় আলিম সরকার (৬০) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে। ভাড়া নিয়ে ট্রলার চালক মহিউদ্দিনকে মেম্বার হাকিমের লোকজনরা বেদম প্রহার করেন। আহতরা হলেন- নিজাম বেপারী (৩৫), মোঃ হৃদয় (১৭), জগতারা (৪০), সুমি (২৫) ও হালিমন (৬০)। তাদের মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে নিহত আলিম সরকারের স্ত্রী ও কন্যা রয়েছে।