নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জে মাদক ব্যবসায় বাঁধা দেয়ায় অটোরিকশা চালকের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের নতুনগাঁও এলাকায় ঝাালাইকর মহসীন ও তার ভাই জাহাঙ্গীর দীর্ঘদিন যাবৎ এখানে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে এখানে তারা এখনো পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। জাহাঙ্গীরের সন্ত্রাসী বাহিনীর কারণে এলাকার কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না বলে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু গত কয়েক মাস যাবৎ পঞ্চসার ইউনিয়ন এর পাশে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের অটোরিকশা চালক মোহাম্মদ জনির বাড়ির আশেপাশে মাদকের কারবার চালিয়ে আসছিল মহসীন সিন্ডিকেটের একটি গ্রুপ। এ বিষয়ে জনি কয়েকবার বাধা প্রদান করে বলে জানা গেছে। কিন্ত মাদক ব্যবসায়ী ঝালাইকর মহসীনের ভাই সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর উল্টো তাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে থামানোর চেষ্টা করে। বারবার বাধা প্রদান ও এলাকার ব্যক্তিবর্গের কাছে অটোরিকশা চালক মোঃ জনি বিচার দিলে ঝালাইকর মহসীন ক্ষিপ্ত হয়। গত সোমবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টায় মাদক ব্যবসায়ী মহসীন মোঃ জনিকে ফোন করে বাসা থেকে বের হতে বলে। জনি বাসা থেকে বের হওয়া মাত্র মাদক ব্যবসায়ী মহসীন ও সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর তার দলবল নিয়ে ধারালো অস্ত্রসহ অতর্কিত হামলা করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় স্থানীয় এলাকাবাসী ও জনির পরিবার বাসা থেকে বের হয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় গুরুতর আহত জনিকে প্রথমে মুন্সীগঞ্জ সদর থানা ও পরে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। চিকিৎসায় জনির মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে চারটি সেলাইসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। থানায় যাওয়ার কারণে আহত জনির বাড়িতে রাত ১২টায় সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর লোকজন নিয়ে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কমিশনার মোঃ স্বপন জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ অবগত আছেন। এই হামলার ঘটনা তিনি শুনেছেন, কিন্তু সামনে ছিলেন না। তবে এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি। স্থানীয় এলাকাবাসীরা জানায়, ঝালাইকর মহসীন এর নামে ইতিপূর্বে মাদক ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। এছাড়া তার ভাই জাহাঙ্গীরের নামেও মাদক ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের একাধিক মামলা আছে। তাই এলাকাবাসী এ বিষয়ে প্রশাসনের কাছ থেকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে আহত জনির স্ত্রী জানায়, তারা এ ঘটনায় থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তবে পুলিশ তদন্তে আসলেও কোন মামলা হয়নি। এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল মোমেন পিপিএম এর সাথে কথা হলে তিনি এ বিষয়ে অতি দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রদান করেন।