নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জের চরাঞ্চলের চরকেওয়ার ইউনিয়নের একটি সড়কের দু’পাশের লাগানো গাছ দিনেদুপুরে কেটেছে দুবর্ত্তরা। এ সড়কের ১০-১২টি গাছ কেটে তা পাঁচদিন ধরে ফেলে রাখা হয়েছে সড়কের দু’পাশে। যার ফলে সড়কটিতে মানুষজন ও যানবাহন চলাচলে চরমভাবে অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে। কৃষি অঞ্চল হওয়ায় এখানকার কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত সবজি তুলে নিতে পারছে না এ সড়ক দিয়ে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সদর উপজেলার চরকেওয়ার ইউনিয়নের ভিটি হোগলা-ফুলতলা গ্রামের সংযোগে ইট বিছানো সড়কের দু’পাশে ১৭টি বড় বড় আকাশি কাঠগাছ কাটা পড়ে আছে।
গাছ কাটার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভিটি হোগলা-ফুলতলা গ্রামের নাছির দেওয়ান নামের প্রভাবশালী এক ব্যক্তি গত ৯ নভেম্বর প্রকাশ্যেই লোকজন নিয়ে সরকারি সড়কের গাছগুলো কেটে সড়কের দু’পাশে ফেলে রাখেন। এ কারণে এ সড়কে দীর্ঘ পাঁচদিন ধরে ছোটবড় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন গ্রামবাসী জানান, গাছগুলো সড়কের দু’পাশে লাগানো। এ গাছগুলো কেউ কর্তন করতে পারবে না। আরও জানান, নাছির দেওয়ান একই গ্রামের জিয়া সরকারের নির্দেশেই গাছগুলো কেটেছেন।
চরকেওয়ার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ ওমর আলী কাজী এ বিষয়ে বলেন, সড়কের গাছ কাটার কারও অনুমতি নাই। গাছ কাটতে হলে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতির প্রয়োজন হয়। এভাবে সড়কের গাছ কাটা যাবে না। গাছ কাটার বিষয়ে জিয়া সরকার অস্বীকার করে বলেন, আমি কিছুই জানি না।
এ বিষয়ে নাছির দেওয়ান বলেন, সড়কের দু’পাশের গাছগুলো আমি লাগিয়েছি। আমার গাছ আমি কাটবো, কার কাছ থেকে অনুমতি চাইতে হবে?
এ ঘটনায় মুন্সীগঞ্জ বন বিভাগের কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির খান বলেন, সড়কের পাশে যদি ব্যক্তি মালিক গাছ লাগান তাহলে তা কাটতে হলে স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তার অনুমতি নিয়ে কাটতে হবে। তা না হলে যে ব্যক্তি গাছ কাটবে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।