মাসুদ রানা : ঢাকার সাথে মুন্সীগঞ্জ জেলা শহরের যোগাযোগের একমাত্র সড়ক মুন্সীগঞ্জ-পঞ্চবটি সড়কের দীর্ঘদিন যাবৎ বেহাল দশা। ঈদের আগে এ আঞ্চলিক মহাসড়কটির সংস্কার কাজ না করলে দূর্ভোগে পড়বে ঈদে ঘরমুখো মানুষ । মুন্সীগঞ্জ মুক্তারপুর চীন-বাংলাদেশ ষষ্ঠ মৈত্রী সেতুর এপ্রোসের শেষাংশ হতে সড়কের চরমুক্তারপুর ও বিসিক পঞ্চবটি এলাকার অধিকাংশ জায়গায় সড়কে খানা-খন্দের সৃষ্টি হয়েছে। আশপাশের বিভিন্ন শিল্প কারখানার পানি ও বৃষ্টির পানি জমে মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে সড়কটি। অসংখ্য খানা খন্দের কারনে এ সড়কে আসা যাত্রীরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। প্রায় এ সড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা, সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। মুন্সীগঞ্জ থেকে ঢাকার দূরত্ব মাত্র ২৯ কিলোমিটার এ অল্প দূরত্বে এ সড়ক দিয়ে মুন্সীগঞ্জ শহর থেকে পঞ্চবটি হয়ে ঢাকা যেতে দুই থেকে তিন ঘণ্টা সময় বেশি লাগছে। জেলা শহরের একমাত্র সড়ক হওয়ায় অ্যাম্বুলেন্সে রোগী নিয়ে সময়মতো পৌঁছাতে পারছে না ঢাকার হাসপাতালগুলোতে। খানাখন্দে সড়কে ভোগান্তি ও যানজটের কারণে রাতে হাঠখোলা ব্রিজ সংলগ্ন, বিসিক ও গোপচর এলাকার সড়কে প্রায়ই নানান রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে বলেও জানিয়েছেন এ রুটের যাত্রী ও এলাকাবাসী। এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মাছুম বিল্লাহ জানান, পঞ্চবটি থেকে মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর সিএনজি ষ্টেশন পর্যন্ত এ রাস্তাটির বেহাল অবস্থা সম্পর্কে আমার জানা আছে এতই খারাপ রাস্তার অবস্থা আমি নিজেও এ রোডটিতে ঢাকা না গিয়ে লঞ্চে করে নৌপথে ঢাকা যাতায়াত করি। পঞ্চবটি থেকে মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর সিএনজি ষ্টেশন পর্যন্ত এ রাস্তাটি সেতু বিভাগের আওতাধীন তারাই ভাল বলতে পারবে কেবে নাগাদ এসড়কটি সংস্কার করবে। বাস চালক মিজান জানান,এ রোড দিয়ে গাড়ি চালানো খুব কুঠিন। প্রথমতো সড়কটি সরু দু’পাশে কারখানা তাদের ট্রাক যখন এ রোড দিয়ে যায় তখন বেশীর ভাগ সময়ে খানাখন্দে ট্রাক পড়ে রাস্তায় বিকল হয়ে পড়ে দীঘ যানজটের সড়কটি সংস্কার করা জরুরী হয়ে পড়েছে ।
এ ব্যাপারে সেতু বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাজন চন্দ্র বিশ্বাস জানান, এ সড়কটি সেতু বিভাগের হওয়ায় সড়কের দীর্ঘদিনের এ বেহালদশা নিরসনে সড়ক মেরামতের কাজ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, সড়কের আশেপাশে অবস্থিত বিভিন্ন ফ্যাক্টরির পানি সড়ক দিয়ে নামার কারণে সড়কে পানি জমে সড়ক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এসব ফ্যাক্টরির মালিকদের সাথে মুন্সীগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসকসহ আমরা সভা করে পানি যাতে সড়কে না নামে সে ব্যাপারে নির্দেশ দিলেও তারা তা মানছেন না। তাই সড়কের পাশ দিয়ে ড্রেন নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে।