নিজস্ব প্রতিবেদক
কঠোর বিধিনিষেধের ৭ম দিনে গতকাল বুধবার মুন্সীগঞ্জ পৌর এলাকার বাইরের সড়কে বেড়েছে মানুষের চলাচল। সকাল থেকেই মুন্সীগঞ্জ শহরের উপকন্ঠে মুক্তারপুর এলাকায় মানুষ পায়ে হেঁটে গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছে নানা উপায়ে। সড়কে দেখা গেছে, অটোরিক্সা ও মিশুক দিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ সারতে রাস্তায় নেমেছে মানুষ। গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট থাকলেও কোনটা কার্যকর, কোনটা আবার অকার্যকর। সে কারণে সদর উপজেলার অনেক সড়কে অবাধে যাতায়াত করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ জানায়, শিল্প-কারখানা, ব্যাংক-বীমাসহ বিভিন্ন অফিস খোলা থাকায় অনেকের বের হতে হচ্ছে। এর বাইরে মানুষ নানা অজুহাতে ঘর থেকে বের হচ্ছে। সদর উপজেলার পাড়া মহল্লায় চায়ের দোকানে আড্ডা ও জটলা আগের দিনগুলোর তুলনায় অনেক বেড়েছে। বাজারগুলোতে মানুষ ভিড় করছে। অপারদিকে মুন্সীগঞ্জ পৌর এলাকার ঐতিহ্যবাহী মুন্সীরহাট বাজারে গিয়ে দেখা যায়, আগের দিনগুলোর তুলনায় মানুষের যাতায়াতের সংখ্যা বেড়েছে। এসব ঠেকাতে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাজ্জাত হোসেন সাগর সাধারণ মানুষ ও মুদি দোকানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হ্যান্ড মাইকিং করছে এবং অপ্রেয়োজনে বাজারে আসতে বারণ করছে। অবাধ যাতায়াত ঠেকাতে মুন্সীরহাট বাজারের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বাঁশ দিয়ে রাস্তা আটকে দেওয়ার কাজ করছে এই কাউন্সিলর। তার এই কাজে সহযোগীতা করতে দেখা গেছে স্থানীয় কয়েকজন তরুণদের। কাউন্সিলর সাজ্জাত হোসেন সাগর বলেন, মানুষকে করোনা ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা করতে ৯নং ওয়ার্ডে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। অপ্রয়োজনে মানুষ যাতে বাজারে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় থাকে এ ব্যপারে সচেতন করতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাইকিং করা হচ্ছে। মুন্সীগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট হাসানুর রহমান জানান, গতকাল বুধবার সকাল থেকে শহরের প্রবেশ মুখগুলোতে কড়াকড়ি অবস্থান নেওয়া হয়েছে। যার ফলে তুলনামূলকভাবে শহরে অটোরিক্সা চলাচল অনেকটা কম। ব্যাংক খোলা থাকায় মানুষ বের হচ্ছে। উল্লেখ্য, করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় গত ১লা জুলাই থেকে সারাদেশে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। করোনার পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় কঠোর বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ১৪ই জুলাই পর্যন্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার।