মাসুদ রানা : মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের স্বেচ্ছা সেবক লীগের উদ্যোগে গ্রেনেড হামলায় শহীদের স্মরনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে । গতকাল বুধবার বিকালে শহরের দর্পনা কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সভায় সদর উপজেলা স্বেচ্ছা সেবক লীগের সভাপতি সজল আহম্মেদ মিতালীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম পলাশের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন , কৃষক লীগের সভাপতি মহাসিন মাখন, স্বেচ্ছা সেবক লীগের জেলার সভাপতি আল মাহমুদ বাবু,সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এ্যাড. গোলাম মাওলা তপন,মোয়াজ্জেম হোসেন, জেলা স্বেচ্ছা সেবক লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মনিরুজ্জামান রিপন,সদর উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক বাদশা মিয়া, জাতীয় শ্রমিক লীগের শিল্পায়ন আঞ্চলিক শ্রমিক লীগের সভাপতি আবুল কাসেম, বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক উপ সম্পাদক আপন দাস, ইউপি চেয়ারম্যান মহাসিনা হক কল্পনা, রিয়াজ হোসেন বিরাজ, আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া প্রমূখ । এসময় বক্তারা বলেন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। জাতির জনকের বড় মেয়ে শেখ হাসিনা দেশে না থাকায় সেই সময় প্রাণে বেঁচে যান। তবে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র থেমে থাকেনি। ১৯৮১ সালে ১৭ মে শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর দেশে-বিদেশে বিভিন্ন সময় তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০ বার হামলা চালায় ঘাতকরা। এসব মামলার মধ্যে বোমা ও গুলিবর্ষণের ১৪টি ঘটনা রয়েছে। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ও ন্যাক্কারজনক হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা রক্ষা পেলেও নিহত হন ২৪ নেতাকর্মী। আহত হন চার শতাধিক নেতাকর্মী। এঘটনা যারা ঘটিয়েছে সকলেই দেশ ও জাতির শত্রু বলে মন্তব্য করেন সভায় বক্তারা। অনুষ্ঠানের আলোচনা সভা শেষে ২০০৪ সালের ২১ আগষ্টে নিহত ও আহতের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয় ।