নিজস্ব প্রতিবেদক
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে শিক্ষা উপকরণেও। হঠাৎ করেই বই, খাতা, কলমসহ দাম বেড়েছে স্টেশনারী সামগ্রীর। প্রতি বছর বাজেটে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি ও ভর্তুকি থাকার পরও শিক্ষা উপকরণের এমন লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে শঙ্কিত অভিভাবক মহল। কাগজ, কলম ও বই গুরুত্বপূর্ণ এই তিনটি জিনিসের দাম ভর্তুকি দিয়ে হলেও কমানোর দাবি সচেতন মহলের। সারাদেশের ন্যয় শ্রীনগরে ঊর্ধ্বমুখী সবধরনের শিক্ষা উপকরণের দাম। বইয়ের পাশাপাশি শিক্ষার জন্য অপরিহার্য বিষয় হলো শিক্ষার বিভিন্ন উপকরণ। যেমন- খাতা, কলম, পেন্সিল, ইরেজার, শার্পনার, স্কেলবক্স, রঙ পেন্সিল ইত্যাদি। সরকার বিনামূল্যে বই দিলেও এসব উপকরণের দাম দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে দেশের মধ্যবিত্ত সমাজের উপর যেমন বাড়তি একটা চাপ পড়ছে, তেমনি অনেক গরিব পরিবারের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের বিভিন্ন লাইব্রেরী ও স্টেশনারী দোকান ঘুরে দেখা গেছে, স্টেশনারী ও শিক্ষা উপকরণের দোকানগুলোতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৬-৮ টাকার পেন্সিল ১০-১৫ টাকা, ৭০-৮০ টাকার রঙ পেন্সিল ১০০-১২০ টাকা, ৩০-৪০ টাকার পেন্সিলবক্স ৫০-৭০ টাকা, ৮-১০ টাকার এ-ফোর সাইজের খাতা ১২-২০ টাকা, ওয়াটার বেজড ৮-২০ টাকার জেলপেন ১০-৩০ টাকা, ৫-১০ টাকার ইরেজার ১০-২০ টাকা, ৪০ টাকার ব্যবহারিক খাতা এখন ৫০ টাকা, ৬০ টাকার খাতা ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৩০০ পৃষ্ঠার খাতা ৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৫ টাকা, ১২০ পৃষ্ঠার খাতা ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা, কালার পেপার রিম ৩২০ থেকে বেড়ে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রেজিস্টার খাতা ৩০০ পৃষ্ঠা ১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা, ৫০০ পৃষ্ঠা ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এর সাথে ফটোকপি ও বাইন্ডিং খরচও বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজারে নিত্যপণ্যের দামও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃদ্ধি পেয়েছে স্কুলের টিউশন ফিসহ অন্যান্য ফি। কিন্তু মানুষের আয় সেভাবে বৃদ্ধি পায়নি। দেশের গরিব শ্রেণীকে যেখানে প্রতিদিনের খাবার যোগাড় করতেই হিমশিম খেতে হয়, সেখানে এ বাড়তি ব্যয় বহন করার সক্ষমতা অর্জনের প্রশ্নই আসে না। আর দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণী সংসার চালিয়ে লেখাপড়ার খরচ বহনে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছে।
বাংলাদেশের মতো একটা দেশে শিক্ষার উপকরণের দাম বৃদ্ধি খুবই খারাপ একটা বিষয়। শিক্ষার খরচ বৃদ্ধি পেলে সেটা শিক্ষার ক্ষেত্রে মোটেও সুখকর হবে না। শিক্ষার হার বাড়ানোর সরকার যে পরিকল্পনা গ্রহণ করছে তা বাধাগ্রস্ত হবে।
মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়ছে শিক্ষা উপকরণে
আগের পোস্ট