যাত্রীশূন্য শিমুলিয়া ঘাট ; কঠোর অবস্থানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী

নিজস্ব প্রতিবেদক
লকডাউন বাস্তবায়নে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে দক্ষিণাঞ্চলের অন্যতম প্রবেশদ্বার মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটটি এখন ফাঁকা। এছাড়াও জেলায় লকডাউন বাস্তবায়নে তিন প্লাটুন সেনাবাহিনী ও দুই প্লাটুন বিজিবিসহ জেলা পুলিশ ও প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিয়েছে। কঠোর লকডাউনে পুলিশও কঠোর অবস্থানে থাকায় অপ্রয়োজনে বের হওয়া মানুষদের পড়তে হচ্ছে জেরার মুখে। লৌহজং শিমুলিয়া ঘাট অভিমুখে দুটি চেকপোস্টে কাজ করছে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘাট এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। ফলে লকডাউনের ১ম দিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে একেবারে যাত্রীশূন্য অবস্থায় রয়েছে শিমুলিয়া ঘাটটি। তবে পণ্যবাহী গাড়ি পারাপারে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ১৫টি ফেরি সচল রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের সুপারভাইজার শাহাবুদ্দিন আহমেদ। এসব ফেরিতে শুধুমাত্র পণ্যবাহী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্স পারাপার হচ্ছে। যাত্রী উপস্থিতি নেই ঘাটে। ঘাট এলাকা একেবারে ফাঁকা। মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ জাকির হোসেন জানান, লকডাউনের নির্দেশনা মানার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। ঘাটে যাত্রী নেই বললেই চলে। মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি আবু বক্কর জানান, কঠোর লকডাউনে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। বিনা প্রয়োজনে কেউ রাস্তায় আসলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুলের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধকল্পে সার্বিক কার্যাবলীসহ চলাচলে বিধি নিষেধ আরোপ সংক্রান্ত সমন্বয় সভা হয়। সভায় জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. মৃণাল কান্তি দাস, মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপিকা সাগুফতা ইয়াসমিন এমিলি, পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ। মুন্সীগঞ্জে নবাগত জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল বলেন, তিন প্লাটুন সেনাবাহিনী, দুই প্লাটুন বিজিবি এবং র‌্যাব সদস্যরা কুইক রেসপন্স টিম হিসাবে কাজ করছে। প্রবেশ পথে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। এছাড়া আনসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যুক্ত করার চিন্তাভাবনা রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গ্রামপর্যায়ে লকডাউন বাস্তবায়ন করবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে মসজিদভিত্তিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। রোভারদের বাজার মনিটরিং কাজে লাগানো যায় কিনা চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে।