নিজস্ব প্রতিবেদক
মুন্সীগঞ্জে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে ৩ প্লাটুন সেনাবাহিনী ও দুই প্লাটুন বিজিবি, জেলা পুলিশের ৩ শতাধিক সদস্যসহ ও প্রশাসন থেকে কড়াকড়ি অবস্থান নেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল থেকে দেশজুড়ে চলা সাতদিনের কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে তৃতীয় দিনও জেলা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি মানাসহ ঘরে রাখতে কাজ করছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কারণে জেলাজুড়ে সব স্থানেই ছিল জনশূন্যতা। এছাড়াও লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটের অভিমুখে দুটি চেকপোস্টে কাজ করছে পুলিশ ও বিজিবি। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘাটে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। এতে লকডাউনের ২য় দিনে শুক্রবার সকাল থেকে একেবারে যাত্রীশূন্য অবস্থায় রয়েছে শিমুলিয়া ঘাট। তবে পণ্যবাহী গাড়ি পারাপারে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ১৫টি ফেরি সচল রেখে চলছে যানবাহন পারাপার। বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের সহ উপ মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, সকাল থেকে ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। তবে সকাল থেকে এসব ফেরি দিয়ে শুধুমাত্র পণ্যবাহী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্স পার করা হচ্ছে। ঘাটে যাত্রীদের উপস্থিতি নেই। তাই ঘাট এলাকা বর্তমানে একবারে ফাঁকা রয়েছে। তবে ঘাটে আটকে থাকা যানবাহন পারাপারের পর ফেরির সংখ্যা কমিয়ে সীমিত পরিসরে নিয়ে আসা হবে।
অপরদিকে জেলা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্যমতে, জেলায় বিগত ২৪ ঘন্টায় ৭০ জনের নমুনার মধ্যে ৪০ জনের রিপোর্টে নতুন করে ১৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এই পর্যন্ত জেলায় মোট নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩১ হাজার ১১৩ জনের। এর মধ্যে রিপোর্ট পাওয়া গেছে ৩০ হাজার ৩শ ৮৮ জনের। যার মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছে ৬ হাজার ৯১ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরেছেন ৫ হাজার ৮৭০ জন। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছে ৭২ জন। যার মধ্যে গত ২০২০ সালে ৬৯ জন ও চলতি বছরে মাত্র ৩ জন। তবে বর্তমানে জেলার বিভিন্ন স্থানে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ৫৩৬ জন। এ ব্যাপারে জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ বলেন, সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী জেলায় কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে ও সঠিকভাবে মানুষের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছে স্বাস্থ্যকর্মী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তিনি সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাড়ীতে থাকার আহ্বান জানান।